শেখ মোঃ হুমায়ুন কবির, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার।গাজীপুরের শ্রীপুরে, আনন্দ ভ্রমণ শেষে ফেরার পথে পিকনিকের নৌকায়, দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনা ঘটেছে।
পিকনিকের আটকিয়ে দুর্বৃত্তের হামলা চালিয়ে, উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের সোনাব গ্রামের মোঃ রুহুল আমিনের ছেলে, পোল্ট্রি ব্যবসায়ী মোঃ নুরুজ্জামান (৩০) এলাকার এক পোল্ট্রি ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে।
(০১’লা জুলাই ২০২৪) সোমবার দুপুরে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের সোনাব গ্রামের খিরু নদীর তীর থেকে, নিহত ব্যবসায়ীর মরাদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নৌকায় থাকা যাত্রীরা জানান, গত (৩০’শে জুন ২০২৪) রোববার নৌকায় আনন্দভ্রমণ থেকে ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাদের নৌকায় আতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে মারধর শুরু করে। এ সময় আত্ম রক্ষার্থে অনেকেই নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। হামলায় নিখোঁজ হন ব্যবসায়ী মোঃ নুরুজ্জামান। স্বজনদের অভিযোগ, দেশীয় অস্ত্রসহ কয়েকজন দুর্বৃত্ত নৌকায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক মারধর করে। এতে নারী-পুরুষসহ অনেকেই আহত হয়।
পিকনিকে যাওয়া যাত্রী শাহাদাত হোসেন বলেন, ৩৫ জনের একটি দল নৌকায় নদীপথে আনন্দভ্রমণে যাই। সকাল থেকে শীতলক্ষ্যা ও ব্রহ্মপুত্র নদ-নদীতে ঘোরাঘুরি শেষে বাড়িতে ফিরছিলাম। সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে, কাওরাইদ ইউনিয়নের সোনাব গ্রামের আব্দুস ছালামের দোকানে পৌঁছানোমাত্র বেশ কয়েকজন দুর্বৃত্ত অতর্কিত হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। এ সময় অনেকেই নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিজেকে রক্ষা করে। কমপক্ষে ৩০ মিনিট মারধর করে সবার সঙ্গে থাকা নগদ টাকা, মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায়। নিহতের ছোট ভাই আব্দুল হামিদ বলেন, রোববার সকালে আমার ভাই বাড়ি থেকে নদীপথে পিকনিকে যাওয়ার কথা বলে বের হয়। রাতে হামলার ঘটনার কথা শুনি। অনেকেই নিখোঁজ রয়েছে, তার সঙ্গে আমার ভাইও নিখোঁজ রয়েছে। এরপর সারা রাত ভাইকে খুঁজে তার কোনো সন্ধান পাইনি। আজ সোমবার সকালে খিরু নদীর তীরে ঝোপঝাড়ের ভেতরে দেখা মিলে ভাইয়ের মরদেহ।
কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এডঃ আজিজুল হক বলেন, পিকনিকের নৌকায় হামলা চালিয়ে মারধরের ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে। দুর্বৃত্তরা সন্ত্রাসী কায়দায় পিটিয়ে একজনকে হত্যা করে অন্য যাত্রীদের কাছে থাকা নগদ টাকা, মোবাইল সিনিয়ে নেয় ও ডেকুরেটরের বিভিন্ন মালামাল ভাংচুর করে এবং অনেক যাত্রীরা আহত হয়েছে।
শ্রীপুর মডেল থানা’র অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকবর আলী খান, দৈনিক মাতৃজগত’কে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছি। লাশের গায়ে কোন প্রকার আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়না তদন্তের পর বুঝা যাবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ কি এবং যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহিদ তাজউদ্দীন আহম্মেদ মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে হামলাকারীদের আইনের আনা হবে।