জহিরুল হক, স্টাফ রিপোর্টারঃ
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের ৫ বছর বয়সে বাবাকে হারিয়ে গ্রামীণ জনপদে ভিক্ষা করে ৭ বছরের সুমাইয়া। ভিক্ষা করেই এই শিশুটিকে নিজের ও পরিবারের মুখে খাবার তুলে দিতে হয়। এভাবেই সে তার পরিবারের মুখে দু’মুঠো ভাত তুলে দেয়।
গত ২ সেপ্টেম্বর দুপুর ২ টায় বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডে ভিক্ষার ঝুলি হাতে নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে শিশু সুমাইয়া। বিষয়টি বিভিন্ন স্থানিয় ও জাতীয় পত্রিকায়, ভিক্ষা করে সংসার চালায় শিশু সুমাইয়া শিরোনামে গত ৩ সেপ্টেম্বর সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
সংবাদটি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসলে ৪ সেপ্টেম্বর (রবিবার) বেলা ১২ টায় সুমাইয়ার বাড়িতে চলে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল ও উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার আরিফুর রহমান। এসময় সুমাইয়ার অসুস্থ পিতার হাতে দুই ব্যাগে শিশু খাদ্য তুলে দেন ও উপজেলা সমাজ কল্যান তহবিল থেকে চিকিৎসা বাবদ ৫ হাজার টাকা উপজেলা অফিস থেকে গ্রোহন করতে বলেন। পাশাপাশি শিশু সুমাইয়ার লেখাপরার দায়িত্ব নেন ইউএনও। সুমাইয়ার পরিবার যাহাতে ভিক্ষা করতে না হয় এজন্য প্রতিমাসে ভিজিডি কার্ডের ৩০ কেজি চাল ও ঘর না থাকায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের একটি ঘর দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
উল্লেখ্য, সুমাইয়ার পিতা,খোকন সুমাইয়ার বয়স জখন ৫ বছর তিনি স্ট্রোক করে মারা যান। সুমাইয়ার মা মুকুল বেগমের তখন দুই কন্যা সন্তান সুমাইয়া ও হালিমাকে নিয়ে অসহায় হয়ে পরে। কোন উপায়ান্তর না পেয়ে বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের ভ্যানগাড়ি চালক আলমগীর হোসেন এর সাথে দ্বিতীয় বিয়ে আবদ্ধ হয়। এই ঘরেও তার দুই কন্যা সন্তান জন্মগ্রহন করেছে। সুমাইয়ার দ্বিতীয় পিতা আলমগীর হোসেন ভ্যানগাড়ি চালাতেন। সড়ক দুর্ঘটনায় দীর্ঘদিন শারীরিক অসুস্থতায় ভুগতেছেন। কর্মহীন হয়ে পরে তার পিতা, ছয়জনের এই সংশারের হাল ধরে শিশুকন্যা সুমাইয়া।