নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সন্দ্বীপ মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২ নং ওয়ার্ড মেম্বার প্রার্থী ও ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারন সম্পাদক মোশারফ হোসেন(৩৫) এর উপর সন্ত্রাসী হামলা হয়।মোশারফ হোসেন মুছাপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সদ্দার বাড়ি প্রকাশ নেজার বাড়ির বাসিন্দা এবং মুছাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক।
সরেজমিনে গিয়ে আহত মোশারফ হোসেন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানায় গত ২২শে মার্চ রোজ সোমবার সকাল সাড়ে এগারটায় নির্বাচনী গনসংযোগ কালে মুছাপুর ২ নং ওয়ার্ডস্থ শেখ মোহাম্মদ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার উত্তর পাশে হুদু মেম্বারের ছেলে ইলিয়াছ সওদাগরের চায়ের দোকানের সামনে ৭/৮ টি হোন্ডা বহর ও অস্ত্র সস্র নিয়ে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায় একদল চিহৃিত সন্ত্রাসী।প্রথমে নেমে এলোপাথারি মারধরের পর মোশারফ এর মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে।
আহত মোশারফ আরো জানায় তাৎক্ষনিক আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।দীর্ঘ সময় পর জ্ঞান ফিরলে নিজেকে একটি বাগান বাড়িতে আহত অবস্থায় সন্ত্রাসীরা আমাকে ঘিরে রাখতে দেখি।এরপর আমার অবস্থা বেগতিক দেখে সন্ত্রাসীরা আমাকে ফেলে রেখে চলে যাওয়ার পর আমার চিৎকার শুনে এলাকার সচেতন লোকজন আমাকে উদ্ধার করে প্রথমে সন্দ্বীপ মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়ে যায়।
প্রাথমিক চিকিৎসার পর গাছুয়া সরকারী মেডিকেলে প্রেরন করে।সেখান থেকে এক্সরে করার প্রয়োজনে আবার স্বর্নদ্বীপ ফাউন্ডেশনে পাঠিয়ে এক্সরে করার পর আবারো গাছুয়া মেডিকেলে ভর্তি করানো হয়।আহত মোশারফ বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।
আহত মোশারফ হোসেন আরো বলেন তাকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দী ভেবে এবং উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিদ্দিকুর রহমানের কর্মী হয়ে কাজ করার জের ধরে তার উপর এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানান।যারা তার উপর এ ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে তাদের সবাইকে চিনতে পেরেছে বলে জানান।হামলাকারীরা হলেন আহসান উল্যা হাসান,ফসিউল আলম,নাজিম উদ্দিন,আরজু,শরীফ,মিলাদ ও মন্টু সহ আরো অনেকে।এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন মোশারফ এর পরিবার।
হামলার বিষয়ে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান এর কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি নৌকার মনোনয়ন চেয়েছিলাম,আমি ত্যাগী নেতা হওয়ার পরও আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।আমি জনগনের ইচ্ছানুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি।কিন্তু নৌকার মনোনীত প্রার্থী দুর্বল প্রার্থী,জনগন তাকে চায়না তাই আমার জনপ্রিয়তায় ঈশ্বান্বিত হয়ে আমাকে কর্মী শুন্য করতে ও আমার জনপ্রিয়তায় আতংকিত হয়ে আমার প্রতিদ্বন্দী এই ন্যাক্কার জনক ঘটনা ঘটিয়েছে।এমন ভাবে চলতে থাকলে আওয়ামীলিগের দুঃসময়ে আওয়ামীলিগের কর্মী খুঁজে পাওয়া যাবেনা।আমি এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
অন্যদিকে আওয়ামীলিগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল খায়ের নাদিমকে ফোন করলেও আমাদের ফোন তিনি ধরেন নাই।তাই আমরা তার কোন বক্তব্য নিতে পারি নাই।
এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন আহতের পরিবার।আহত মোশাররফ বলেন আজকে আমার উপর হামলা হয়েছে,কাল আপনার উপরে হামলা হবে।আর তাই এই ধরনের হামলা চলতে থাকলে আমার মত ত্যাগী কর্মীরা হারিয়ে যাবে।দুঃসময়ের কর্মী খুঁজে পাওয়া যাবে না।আমি আমার উপর হামলার বিচার চাই।
Leave a Reply