বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৩ অপরাহ্ন
ঘোষনা
গাজীপুরের শ্রীপুরে ৩ রেস্তোরাকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আখাউড়ায় ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ যুবলীগের ২ সদস্য গ্রেফতার মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে পুলিশের সাফল্য, এলাকায় স্বস্তির বাতাস চলো জি ভাই, হাঁরঘে পদ্মা বাঁচাই” গোমস্তাপুরে জাতীয়তা বাদী দল বিএনপির বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত। দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকার প্রকাশক, আছিয়া রহমানের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মাতৃজগত পরিবার ধামইরহাটে ইটভাটা বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত সরিষাবাড়ীতে রেলওয়ে স্টেশন ভবনের ছাদ ঢালাই সম্পন্ন হয়েছে। ঝিনাইদহে আইনজীবী পরিষদের উদ্যোগে- দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টকারী আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার ও তার দোসরদের প্রতিহত করার লক্ষ্যে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত রাজশাহীতে ট্রান্সমিশন লাইনে কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় আহত হলেন নেসকোর দুই কর্মী “মরতে হলে একসাথে মরবো, বাঁচতে হলে একসাথে বাঁচবো”—গলাখালী জনসভায় হাসান মামুন গাজীপুরে এক রাতে ৩টি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে গ্রামীণ ব্যাংকে অগ্নিকাণ্ড কাশিমপুরে চক্রবর্তী এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা বাসে দুর্বৃত্তদের অগ্নিসংযোগ। অনিয়ম ও অবহেলার লালমোহন হাসপাতাল : নিজেই একটা আস্ত রোগী মনোনয়ন নিয়ে বিএনপির টানাপোড়েন : নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠানের যাচাই গোপালপুরে ব্র্যাকের উদ্যোগে কৃষকদের মাঝে সবজি বীজ বিতরণ ধোবাউড়ায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু… ৩১ দফা বাস্তবায়িত হলে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে: আবু সাঈদ চাঁদ জলঢাকাবাসীর ভালবাসায় সিক্ত বিএনপি নেতা কমেট চৌধুরী রংপুরে পূজা উদযাপন পরিষদের পুনর্মিলনী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে সবসময় থাকবো — সামসুজ্জামান সামু মনপুরার মেঘনায় যৌথ অভিযানে নিষিদ্ধ চাই ও মটকা জব্দ

সন্দ্বীপে জরাজীর্ণ বসতঘরে স্ত্রীসহ দুই মেয়ে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন গফুর

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৪
  • ১৯৮ বার পঠিত

 

রিয়াদুল মামুন সোহাগঃ খড় আর ভাঙাচোরা কিছু টিনে জোড়াতালি দেওয়া ঘরের বেড়া।মরিচা ধরা টিনের চালে পলিথিনের ছাউনি।জীর্ণ এ ঘরে স্ত্রী রোকেয়া বেগম(৪৫) ,মেয়ে নুর নাহার পলি(২২),মহিমা(১৪)কে নিয়ে বসবাস করেন গফুর(৫২)।বৃষ্টি এলেই দুর্ভোগ বাড়ে।টিনের ছিদ্র দিয়ে পানি পড়ে ভেসে যায় ঘর। একটু কোনাও ফাঁকা পাওয়া যায় না যেখানে শুয়ে ঘুমাবেন তারা।সেখানেই যায় শুধু পানি পড়ে।

সন্দ্বীপ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নে ১নং ওয়ার্ডের আমন্দের গো বাড়িতে জরাজীর্ণ বসতঘরে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন অসহায় আব্দুল গফুরের পরিবার।বসবাস উপযোগী ঘর নেই।আছে একটা ভাঙা ছাপড়াঘর।এই ঘরে শুয়ে রাতে আকাশের তারার ছোটাছুটি দেখা যায়।কখন যে ঝড়-তুফান আসে,এমন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত পোহাতে হয় তাদের।

স্ত্রীসহ পরিবারসহ একটি ভালো আশ্রয়স্থলের অভাবে বহু বছর ধরে জরাজীর্ণ বসতঘরে মানবেতর জীবনযাপন করে আসছেন আব্দুল গফুর।একজন অসহায় লোক তিনি।অন্যর কামলা কাজ করে পরিবার চালান।কিন্তু শারীরিক সমস্যার কারণে এখন কাজ করতে পারেন না।তার নিজের কোনও জমিজমা নেই। নেই কোন ছেলে সন্তান,দুই মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে নুর নাহার সন্দ্বীপ সরকারি হাজী আবদুল বাতেন কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের মেধাবী ছাত্রী।ছোট মেয়ে মুছাপুর হাজী আবদুল বাতেন উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রণীতে পড়ছেন।

অর্থের অভাবে মেয়েদের পড়ালেখার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন আবদুল গফুর।তবুও দুই মেয়েকে নিয়ে একবুক স্বপ্ন দেখছেন আবদুল গফুর।বড় হয়ে চাকরি করে পরিবারের দুঃখ দূর করবে এই আশায়।

শনিবার(২০ জানুয়ারী)মুছাপুর ১ নং ওয়ার্ডে আমন্দের গৌ বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়,গফুরের পরিবারের এমন চিত্র।জরাজীর্ণ ছাড়পা টিনের ঘরটি বহু আগের তৈরি। ভিতরে গিয়ে দেখা যায়,দুই রুমে বাঁশের জরাজীর্ণ পুরাতন বেড়া।দুটি ভাঙা চকি।একটিতে স্ত্রী নিযে থাকেন গফুর।অন্যটিতে দুই বোন।ঘরে নেই কোন বাথরুম।পাকের ঘরটিও গাছের পাতা মোড়ানো।

কথা হয় গফুরের সাথে তিনি জানান,আমাদের পূর্ব পুরুষ থেকে আমরা অনেক অবহেলিত।বাবার সামান্য ঘরের এ অংশ থেকে আমি এখানে বসবাস করছি। আগে খরের ঘর ছিল।নিজে অন্যর বদলা দিয়ে ২০০৯ সালে ছোট্ট এ ছাড়পা ঘরটি করছি।মেয়েদের নিয়ে এ ঘরে এখন বসবাসের অনুপযোগী।আমি সরকার অথবা সমাজের বিত্তবানদের থেকে সামান্য সহযোগিতা চাচ্ছি যাতে একটি ঘর পাই।

গফুরের স্ত্রী রোকেয়া বেগম জানান,আমরা এক গরীব অসহায় পরিবার।জমি জমা কিছুই নেই।পেটের তাগিদে সারাদিন অপরের বাড়িতে পরিশ্রম শেষে ঘরে এসে আরামে ঘুমাব তাও পারি না।কখন যে ঝড়-বাতাসে ঘরটি ভেঙে পড়ে এ জন্য রাত জেগে থাকতে হয়।দুইজন মেয়ের মধ্যে প্রথম মেয়ের জন্য পাত্র আসে কিন্তু ভাঙা ছোড়া ঘর বিধায় পাত্র ফেরত যায়।তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি দুর্যোগ সহনীয় ঘর পাওয়ার আকুতি করছি।

গফুরের মেয়ে এবি কলেজের স্নাতক ডিগ্রীর ছাত্রী নুর নাহার পলি বলেন,আমার বাবার একজন অসহায় মানুষ।আমার কোন ভাই নেই।বর্তমানে বাবার শারীরিক সমস্যার কারণে কাজ করতে পারে না।এ স্মার্ট বাংলাদেশে,ডিজিটাল যুগে মানুষ যখন দালান কোঠায় বসবাস করে আমরা সেখানে অসহায়।আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট একটি ঘর চাচ্ছি যাতে আমরা ও সুন্দর ভাবতে ভাবে বসবাস করতে পারি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ দৈনিক মাতৃজগত    
Developed By Bangla Webs
banglawebs999991