নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায় পুলিশ পরিচয়ে যুবকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে।অভিযুক্ত যুবকের নাম খাদেম ওরপে খাদেম হুজুর।সে স্থানীয় পৌরসভা ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।মুছার গো বাড়ির মৌলভী শাহ আলম মোল্লার পুত্র খাদেম হুজুর।
সন্দ্বীপ থানায় করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় স্থানীয় সন্তোষপুর ইউনিয়নের মোস্তফা এগ্রো ফার্ম থেকে পাভেল নামের এক ব্যক্তিকে পুলিশ পরিচয়ে অপরণ করে চাঁদা দাবি করে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তাঁর সহযোগীরা।ভুক্তভোগী এ সংক্রান্তে সন্দ্বীপ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।একই মামলায় অপর অভিযুক্ত যুবকের নাম রাকিব।তাঁর পিতার নাম নুর ইসলাম ইসন।তিনি পৌরসভা ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
দীর্ঘদিন ধরে সন্দ্বীপ পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের ব্যবসায়ী,আওয়ামী লীগ সাপোর্টারসহ বেশকিছু লোককে আটক করে চাঁদা নেওয়া অভিযোগ রয়েছে।ভয়ে এতদিন কেউ মুখ না খুললেও তার গ্রেফতারের পর আস্তে আস্তে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।তার হাতে আটক হওয়া বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়,তাদের কেউ নাজির হাট এলাকার ব্যবসায়ী অথবা কেউ আওয়ামী লীগের নরমাল সাপোর্টার।ইয়াবা দিয়ে থানায় তুলে দেওয়ার হুমকি দিয়ে অনেকের কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছেন এই খাদেম হুজুর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন,আমার কোন অপরাধ নেই,শুধু আমি আওয়ামী লীগ সাপোর্ট করি বলে আমার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছেন।টাকা না দিলে আমাকে ইয়াবা দিয়ে পুলিশে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলো।মান সম্মান বাঁচাতে আমি ১০ হাজার টাকা নিয়ে দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ব্যক্তি বলেন,আমি জীবনে ইয়াবা খায়নি তবুও সে আমাকে দুইবার আটক করে চাঁদা চেয়েছে আর না হয় ইয়াবা পুলিশে তুলে দেওয়ার হুমকি দেয়।আমি এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
এমন আরো অনেক অভিযোগ খাদেম হুজুরের বিরুদ্ধে থাকলেও এলাকার কেউ মুখ খুলতো না কারণ সে বিএনপির নেতা।তার সাথে আরো কয়েকজন আছে যাদের অনেকেই চিনেন না।মূলত ৫ আগষ্টের পর থেকে তার একটাই কাজ ছিলো মানুষকে জিম্মি করে চাঁদা নেওয়াসহ বিভিন্ন মাটিকাটা,বালি উত্তলন থেকে চাঁদা নেওয়া।এক কথায় পৌরসভার আতঙ্ক ছিলো এই খাদেম হুজুর।
গ্রেফতার ও মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে সন্দ্বীপ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)মনিরুল ইসলাম ভূইয়া বলেন,সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিষয়ে সন্দ্বীপ থানা পুলিশ জিরো টলারেন্সে থাকবে।এ মামলায় পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে।