নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার হারামিয়া কমপ্লেক্স অবস্থিত দারুল ফুরকান হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠাতা হাফেজ মোহাম্মদ নুরুউদ্দিন ০৬ বছরের এক কণ্যা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।গত শুক্রবার সকাল ১১টায় নুরুউদ্দিন শিশুটিকে নাস্তা খাওয়ানোর নাম করে তার ব্যক্তিগত কক্ষে ডাকে এবং তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
সরেজমিনে গেলে শিশুটি জানায়,আমি মদ্রাসার হোস্টেলে থাকতাম।হুজুর আমাকে শুক্রবার ১১টায় আমার সহপাঠীর মাধ্যমে হুজুরের বাসায় ডাকে।আমি বাসায় যাওয়ার পর আমাকে জোড় করে রুমে নিয়ে গিয়ে দরজা লাগিয়ে ফেলে এবং আমাকে জোড় করে ধর্ষনের চেষ্টা করে।
এমতাবস্থায় আমি উচ্চস্বরে শব্দ করলে আমাকে বের করে দেয়।আমাকে হুমকি দেন যাতে ঘটনাটি কাউকে না বলি।পরে শনিবার মাদ্রাসার শিক্ষিকা আমাকে জিজ্ঞাসা করেন হুজুর কেন ভিতরে ডাকছে।পরে আমি ম্যাডামকে ঘটনাটা বলি।তিনি আমার পরিবারকে জানান।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল দুপুর ২টায় শিশুর আত্মীয়-স্বজন সহ এলাকার লোকজন হাফেজ নুরুউদ্দিন কে মারধর করে।এলাকার লোকজন ও মাদ্রাসার অন্য শিক্ষকরা হাফেজ নুরুউদ্দিনকে উদ্ধার সন্দ্বীপ মেডিকেল নিয়ে যায়।চিকিৎসা শেষে মাদ্রাসায় ফিরে যান হাফেজ নুরুউদ্দিন।
হাফেজ নুরুউদ্দিন শিশুটিকে বাসায় নিয়ে যাওয়ার ঘটানাটি স্বীকার করে।তবে সে বলে আমি ধর্ষণ করার চেষ্টা করি নি।হাফেজ মোহাম্মদ নুরুউদ্দিন মুছাপুর ৬নং ওয়ার্ডের হাফেজ মাহামুদুল হাসানের ছেলে।মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা নুরুউদ্দিন তার পরিবার নিয়ে মাদ্রাসার তিন তলায় থাকেন।পরিবারে তার মা ও স্ত্রী থাকেন।তবে ঘটনার দিন তারা কেউ বাসায় ছিল না।এই ঘটনায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।সন্দ্বীপ থানার ওসি বশির আহম্মেদ খান জানান,আমরা তাকে আজ বিকেলে পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডে অবস্থিত তার ব্যক্তিগত বাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছি এবং তার নামে থানায় একটি মামলা হয়েছে।
জানা গেছে,দারুল ফুরকান হাফিজিয়া মাদ্রাসাটি ২০১৮ সালে সন্দ্বীপ পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডস্থ আবাসিক গল্লির একটি ভবনে অবস্থিত।হাফেজ মোহাম্মদ নুরুউদ্দিন বাসা ভাড়া নিয়ে মাদ্রাসা ও আবাসিক হোস্টেল পরিচালনা করছেন।আবাসিক হোস্টেলটিতে মেয়ে ও ছেলে উভয় থাকে।এই মাদ্রাসাটির কোন দাপ্তরিক অনুমোদন নেই বলে জানিয়েছে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা।
এদিকে শিশুটির বাবা বলেন,আমি আমার মেয়েকে হাফেজ বানাতে দিয়েছি কিন্তু মাদ্রাসার শিক্ষকরা যদি এমন করেন তাহলে কোন মা-বাবা ছেলেদের এখানে পড়তে পাঠাবে না।আমি এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।পাশাপাশি মাদ্রাসার শিক্ষকদেরও একই দাবি ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা আমরা সুবিচার আশা করছি।
Leave a Reply