নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সন্দ্বীপ পৌরসভার আওতাধীন হাট-বাজার ইজারাকে কেন্দ্র করে টেন্ডার ড্রফ করা নিয়ে সন্দ্বীপ ড.এম এ ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহেদুল ইসলামের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে সন্দ্বীপ পৌরসভা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম সুমন এবং মুনসুরের উপর।
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে টেন্ডার জমা দেওয়ার জের ধরে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহেদুল ইসলামের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।গতকাল সন্দ্বীপ পৌরসভায় হাট-বাজার ইজারার দিনে সন্দ্বীপ পৌরসভা বাজারের টেন্ডার জমা দিয়েছিলেন ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহেদুল ইসলাম।স্থানীয় পৌরসভা কার্যালয়ের গেইটে টেন্ডার জমা দিয়ে যাওয়ার সময় এই হামলার ঘটনা ঘটে।পৌরসভা বাজার শাহেদুল ইসলামের নামে টেন্ডার জমা দিতে নিষেধ করেছিলেন স্থানীয় পৌরসভা আওয়ামী যুবলীগ নেতা এস এম সুমন,মুনসুরসহ বেশ কয়েকজন।কিন্তু সেই নিষেধ উপেক্ষা করে টেন্ডার জমা দেওয়াই এই হামলা স্বীকার হন তিনি।
এই বিষয়ে ভুক্তভোগী শাহেদুল ইসলাম জানান,আমি পৌরসভা বাজারের টেন্ডার জমা করেছি আর তাই তারা আমার উপর হামলা করেছে।এস এম সুমন,মুনসুরসহ কয়েকজন মিলে আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে।
এই বিষয়ে স্থানীয় লোকজন জানায়,পৌরসভা কার্যালয়ের গেইটে চায়ের দোকানের সামনেই শাহেদুল ইসলামের উপর হামলা হয়েছে।হামলাকারীরা সন্দ্বীপ পৌরসভা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।এস এম সুমন,মুনসুরসহ ৭/৮জন লোক একসাথে শাহেদের উপর ঝাপিয়ে পড়েছে।স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে পৌরসভায় পাঠানো হয়েছে।
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রত্যক্ষদর্শী পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ বাঙালী বলেন,আমি এবং কাউন্সিলর আবু তাহের ভাই পৌরসভা গেইটের দোকানে চা খাচ্ছিলাম,পাশে জোট হয়ে বসে ছিলেন এস ডি সুমন,মুনসুরসহ ৮/১০জন নেতাকর্মী।শাহেদ চা খেতে একই দোকানে আসলেই সুমন জিজ্ঞেস করলো আমার নামে তুই কেন বিচার দিলি মেয়রের কাছে,শাহেদ বললো আমি কোন বিচার দেয়নি।সাথে সাথে সুমন,মুনসুরসহ ৮/১০ জন মিলে শাহেদের উপর আক্রমণ করে।আমরা কয়েকজন মিলে হামলা থেকে উদ্ধার করে শাহেদকে পৌরসভা অফিসে পাঠিয়ে দিছি।
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রত্যক্ষদর্শী পৌরসভা ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু তাহের বলেন,ঘটনা সত্য।আমরা না থাকলে হয়তো আরো বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারতো।এমন ঘটনা দুঃখজনক।
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন,শুধুমাত্র পৌরসভা বাজারের টেন্ডার জমা দেওয়াই শাহেদের উপর হামলা করেছে তারা।সুমন,মুনসুরসহ ৮/১০জন একসাথে মেরেছে শাহেদকে।আমরা না থাকলে আর বড় কিছু হতে পারতো।
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে যুবলীগ নেতা মুনসুর বলেন,আমরা কেন তার উপর হামলা করবো।রাজনৈতিক ভাবে আমাদের সাথে মতবিরোধের কারণে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অভিযোগ করতে পারে।আমরা কিছু করিনি।
অন্যদিকে আরেক যুবলীগ নেতা এস এম সুমনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এগুলো মেয়রকে জিজ্ঞেস করেন।শাহেদ আমাদেরকে মারছে আমরাও শাহেদকে মারছি।মেয়র আমাদের মিলমিশ করে দিয়েছেন।
একদিকে যুবলীগ নেতা মুনসুর বললেন আমরা শাহেদকে মারিনি আর অন্যদিকে আরেক যুবলীগ নেতা সুমন বললেন আমরা মেরেছি এবং শাহেদও আমাদেরকে মেরেছে।মেয়র মোক্তাদের মাওলা সেলিম মিমাংসা করে দিয়েছেন বলে সুমন দাবি।কিন্তু শাহেদের ভাষ্যমতে কোন ধরনের মিমাংসা হয়নি।
হামলার বিষয়ে সন্দ্বীপ পৌরসভা মেয়র মোক্তাদের মাওলা সেলিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি তিন জায়গায় টেন্ডার জমা দেওয়ার সিস্টেম রেখেছি।যার মূল্য বেশি হয়েছে সেই পেয়েছে কিন্তু হামলা আমার পৌরসভার ভিতরে হয়নি।এগুলো রাস্তায় হয়েছে আমার কিছু করার নেই।তারপরও ঘটনা শুনার সাথে সাথে আমি থানায় ফোন করে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি।
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে সন্দ্বীপ থানার অফিসার্স ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম বলেন,ঘটনা সন্দ্বীপ পৌরসভা মেয়র মোক্তাদের মাওলা সেলিম আমাকে জানানোর পরেই আমি অতিরিক্ত পুলিশ পাঠিয়েছি।থানায় আসলেও শাহেদুল ইসলাম কোন রকম অভিযোগ দেয়নি।অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নিবো।