নিজস্ব প্রতিবেদক: মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাজারে কাঁচা মরিচের কেজি এখন ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। একই সাথে বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে অন্যান্য সব ধরনের সবজি। শ্রীমঙ্গল নতুন বাজারের পাইকারী বাজার থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলার-সহ বড় বড় সবজি বাজারে পাইকারী ২৩০ টাকায় বিক্রি হলেও খুচরা দোকান ও ছোট ছোট বাজারে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকার নিচে মিলছেনা কাঁচামরিচ। অনেকে বাধ্য হয়ে শুকনো মরিচ দিয়েই কাঁচামরিচের চাহিদা পূরণ করছেন।
এদিকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা, রাজনগর উপজেলা, কুলাউড়া উপজেলা, বড়লেখা উপজেলা, জুড়ী উপজেলা ও কমলগঞ্জ উপজেলা, জেলার এইসব উপজেলাগুলো ঘুরে ঘুরে দেখা যায় শ্রীমঙ্গল উপজেলার নতুন বাজার থেকে ওই সব উপজেলায় দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি দর, বাজারে চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে অধিকাংশ সবজি। তবে কিছু সবজির দাম গত দুই মাসের তুলনায় ১০-২০ টাকা করে কমেছে।
তবুও শ্রীমঙ্গলের বিক্রেতারা বলছেন, সবজির দাম আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে। যদিও বিক্রেতাদের এমন দাবি মানতে নারাজ সাধারণ ক্রেতারা। ক্রেতারা বলছেন, বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম ৫৫-৬০ টাকার উপরে। গত দুই তিন মাস ধরেই এ দামে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া সবজি তো সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে রয়েছে।
এক ক্রেতা ইফাত টি হাউজ ব্যবসায়ীক মোঃ ইসমাইল মিয়া বলেন, এই সময় এসেও টমেটো ৯০ থেকে ১০০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা। তাহলে আমরা খাব কী? তবুও বিক্রেতারা বলছেন সবজির দাম কমেছে। কমেছে ঠিকই কারণ যে টমেটো কয়েকদিন আগে বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি, সেটি আজ ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অতিরিক্ত দাম থেকে কিছুটা দাম কমলে এটা বলা যাবে না যে, সবজির দাম কমেছে। টমেটো এখন সর্বোচ্চ ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলে বলা যেত টমেটো দাম কমেছে।
শুক্রবার (৫ আগষ্ট) শ্রীমঙ্গলের নতুন বাজার সবজি বাজারে সন্ধান ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে বড় আকারের বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, চায়না গাজর ১৩০ টাকা, ফুলকপি ৯০ থেকে ১০০, বাঁধাকপি ৫০ থেকে ৬০, মুখী ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, চিচিংগা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, লাম্বা বেগুন ৩০ থেকে ৪০ টাকা, দেশি গাজর ৮০ টাকা, শসা হাইব্রিড ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, দেশি শসা ৫০-৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পেপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, কাঁকরুল ৪০ থেকে ৫০, কচুর লতি ৩০, মুলা ৪০ থেকে ৫০ আদা ৯০ থেকে ১০০, ও টমেটো ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বাজারে চালকুমড়া আকার ভেদে প্রতিপিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লাউ আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, ঝিঙা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে। এছাড়া লেবুর হালি ১৫ থেকে ২০ টাকা, গোল আলুর কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
শ্রীমঙ্গল কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা মোঃ হানিফ গাজী বলেন, বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কিছুদিন আগেই বিক্রি করেছি ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি, কিন্তু আজ ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করছি। একইভাবে আগে ছোট আকারের একটি ফুলকপি বিক্রি করেছি ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় এখন এটি ৯০ থেকে ১০০ টাকা।
আরেক শ্রীমঙ্গল কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা অনন্ত কপালি জানান, কাঁচামরিচের দাম পাইকারী বাজাওে বেড়েছে। তাই আমরা বেশী দামে বিক্রি করছি। আমরা কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা লাভ করে থাকি। পাইকারী বাজারে দাম না কমলে আমাদের কিছু করার নেই। তবে অন্যান্য সবজির দাম কমেছে।