রাজশাহী বিভাগীয় ব্যুরো প্রধানঃ
দৈনিক ইত্তেফাকের তাড়াশ সংবাদদাতা ও তাড়াশ মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম মোস্তফাকে অনুসন্ধানী সাংবাদিতার জন্য বিশেষ সম্মাননা পদক দিয়েছেন সেই গৃহহীন রুহুল আমিন ও রেহেনা দম্পত্তি। সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের দিঘরিয়া গ্রামের সরদার পাড়াতে রুহুল আমিনের বাড়ি।
সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা বলেন, (২৮ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার রুহুল আমিন ও তার স্ত্রী রেহেনা খাতুন আমাকে ইফতারির দাওয়াত করেন। আমি তাদের বাড়িতে যাই। সেখানে স্থানীয় মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্রদের সাথে মিলাদে অংশ নেই ও ইফতার করি। এরপর রুহুল আমিন ও রেহেনা দম্পত্তি আমাকে সম্মাননা পদকটি হাতে তুলে দেন।
দিঘরিয়া গ্রামের সরদার পাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা ও সলঙ্গা ডিগ্রি কলেজের সমাজকল্যাণ বিভাগের প্রভাষক আলাল উদ্দিন, দিঘরিয়া ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ সুদেব বলেন, গ্রামের অসহায় একটি গৃহহীন পরিবার বাসগৃহ পাওয়ায় আমরা খুব আনন্দিত হয়েছিলাম। সেজন্য গত ফেব্রæয়ারি মাসের ১৯ তারিখে রুহুল আমিন ও রেহেনা দম্পত্তিকে ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে দিঘরিয়া গ্রামবাসীর সৌজন্যে দৈনিক ইত্তেফাকের তাড়াশ সংবাদদাতা ও তাড়াশ মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম মোস্তফাকে বিশেষ সম্মাননা পদকটি দিতে চেয়েছিলাম। সেদিন উপস্থিত প্রধান অতিথি তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবাউল করিমসহ অন্যান্যদের ফুলেল শুভেচ্ছা দেওয়ার ইচ্ছে ছিল গ্রামবাসীর। কিন্তু সম্ভব হয়নি। বিশেষ করে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে একজনকে সম্মাননা দিলে দৃষ্টি কটু হত।
রুহুল আমিন ও রেহেনা খাতুন বলেন, নিদারুণ দরিদ্রতার নিষ্ঠুর কষাঘাতে ঘর তুলতে না পেরে মাটি খুঁড়ে গর্ত করে সেই গর্তের মধ্যে ঘর বানিয়ে দেড় যুগেরও অধিক সময় ধরে বহু কষ্টে বসবাস করেছি। সেই হৃদয় বিদারক ঘটনার সচিত্র প্রতিবেদন দৈনিক ইত্তেফাকের অনলাইন সংস্করণে “ ১৭ বছর মাটির গর্তে গৃহহীন দম্পত্তি ” শিরনামে প্রকাশের পর ভাগ্য বদলে গেছে আমাদের। সংবাদটি দেখে সেফ হিউম্যান লাইফ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান আমাদের বসতঘর করে দিয়েছেন। এছাড়া তাড়াশ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা অনুদান পেয়েছি। দৈনিক ইত্তেফাককের একটি সংবাদ আমাদের বহু কষ্টের অবসান ঘটিয়েছেন। এখন আমরা সুখে আছি। যতদিন বেঁচে থাকব দৈনিক ইত্তেফাকের জন্য ও যারা আমাদের সহযোগিতা করেছেন তাদের জন্য দোয়া করব।