পর্ব ২
, নেত্রকোণা।
নেত্রকোণায় “সবুজ বাংলা সমবায় লিঃ ” এর পরিচালক সুমনের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ –
দ্বিতীয় পর্বে উঠে আসে আরও চাঞ্চল্যকর ঘটনা
নেত্রকোণা, জেলা সদরের ৪ নং সিংহের বাংলা ইউনিয়নের ফরিদপুর পূর্বপাড়ার আঃ হেলিমের ছেলে সুমনের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন রায়দুম রুহী গ্রামের মৃত হাছেন আলীর ছেলে আবুল বাশার। সুমন ‘সবুজ বাংলা সমবায় লিঃ” এর পরিচালক ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির কর্মচারী।
আবুল বাশার গত ৬ মার্চ নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক বরাবরে এক লিখিত অভিযোগ দেন সুমনের বিরুদ্ধে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে নেত্রকোণা জেলা সমবায় কার্যালয় নেত্রকোণা,হতে ১৩/৩/২০২৩ খ্রি.চিঠি ইস্যু হয়,এবং অভিযোগ কারি আবুল বাশার কে ঋণের জামিনদার সহ ৩০/৩/২০২৩খ্রি. চিঠিতে উপস্থিত থেকে তদন্ত কাজে সহযোগিতা করার জন্য বলা হয়। বেলা ১২.৩০ ঘটিকায় উক্ত সমিতির মালিক তার শ্যালক সুমন সহ উপস্থিত হয়, এসময় শিল্পকলায় চাকরি রত সুদের কারবারি সুমন সাংবাদিকদের দেওয়া তথ্য অস্বীকারার করেন। এবং সুদের বিষয় অস্বীকার করেন, সাংবাদিকদের কল রেকর্ডে তার স্বীকারোক্তির কথা বললে, তিনি জানান আবুল বাশারের ছেলেকে হাওলাতে – ১৬০০০/ (ষোল হাজার টাকা) দেন, এবং ছয় কিস্তি ১২,০০০/ টাকা নেন,। পরিচালক সমুন এর জামিন দার রায়দুম রুহী গ্রামের আছর উদ্দীনের ছেলে স্বপন মিয়া
বলেন, আমি রোজাদার মিথ্যা কথা বলতে পারবনা, সুমন ৪০০০০ চল্লিশ হাজার টাকার জন্য চাপ দেয়। ১৬ হাজারের কথা জানিনা, এ দিকে সুবুজ বাংলা সমবায় সমিতির মালিক সাইন বোর্ডে উনার রেজিঃ নাম্বার থাকা সত্ত্বেও, তার দায় এড়াতে তার শ্যালক সুমন সমিতির কিছু না দাবি করে, অভিযোগ কারী আবুল বাশারকে মান হানির মামলার হুমকি দেয়,এতে অসহায় আবুল বাশার সাময়িক ভাবে হার্টের সমস্যার কারণে অসুস্থ হয়ে পরে। সাংবাদিক গণ তার সমিতির তথ্য চাইলে তিনি তা দিতে অস্বীকার করেন,এবং তার সদস্য কত জন তাও তিনি বলতে নারাজ।
সুমন এবং সমিতির মালিক সু- কৌশলে আবুল বাশারকে হুমকি প্রদর্শন করে। এলাকায় চলতে হবে বলে। এবং এ দায় আমার না বলে বের হয়ে চলে যান। পরিচালক সুমন পা ধরে বাশারের কাছে ক্ষমাও চান তার আনিত কৃত কর্মের জন্য। কিন্তু,সাদা কাগজ ও স্ট্যাম্প এ সই রাখার বিষয় টি, ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। সাংবাদিকদের বলেন, বড় জোড় আমাকে বদলি করবে অফিসে আর কিছুই হবেনা। আপনি তো এই শহরেই থাকবেন। পরে আমার সাথে দেখা কইরেন।
আমি আবশ্যই আসব।
তদন্ত কর্মকতা জানান, যেহেতু আবুল বাশারের কাছে কোন ডকুমেন্টস নেই। কিছুই হবেনা বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান। আরও বলেন, যেই সাইন বোর্ড লাগানো হয়েছিল সেটা যাওয়ার আগেই খুলে ফেলা হয়েছে,আমরাপাইনি।
এদিকে সমবায় অফিস সুত্রে জানা যায়, সুবুজ বাংলার ঝগড়া কান্দায় ভূয়া সাইনবোর্ড লাগিয়ে কতৃপক্ষের বক্তব্য না নিয়ে দৈনিক আজকালের কন্ঠ একটি অন লাইন পোর্টালে
সমিতির পক্ষে নিউজ পরিবেশন করেন কথিত সাংবাদিক এবং ভুল তথ্য প্রদান করেন। এ দিকে ঐ এলাকায় নাম প্রকাশে অনিছুক সাধারণ জন গণ ঐ এলাকার সুদখোর চক্র হতে মুক্তি চায়, এবং যে সমবায় সমিতি ভূয়া সাইন বোর্ড পরিবেশন করে কোটি টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছে তা অবৈধ বলে দাবি করেন, এলাকা বাসি সহ সাধারণ জনগণ ও সরকারকে ধোকা দিচ্ছে। সরকার তার রাজস্ব হতে বঞ্চিত হয়েছে মানুষ হচ্ছে,লাঞ্ছিত ও নির্যাতিত এবং আর যেন নির্যাতনের মাধ্যমে টর্চারসেল ও স্টাম্পের মাধ্যমে কারও সম্পদ দখল করে চাপ দিয়ে লিখে নিতে না পারে। কোন পরিবার যেন নিঃ স্ব না হয়। এ বিষয়ে প্রশাসনের সু দৃষ্টি কামনা করেন।।
উল্লেখ্য যে এলাকায় অনুসন্ধান করে জানা যায় সুমন গ্যাং অনেক শক্তিশালী। তাদের কাছে এলাকার সাধারণ ও নিরীহ মানুষ জিম্মি।
চলবে —।