আজহারুল ইসলাম সাদী, স্টাফ রিপোর্টারঃ ‘সেবার ব্রতে চাকরি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে, শতভাগ মেধা যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে সাতক্ষীরায় পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদের নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পুলিশের চাকরি পেয়েছেন ৪৯ তরুণ-তরুণী।
বুধবার (১৩ মার্চ) দিনগত রাত ১টায় সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনে নতুন চাকরি পাওয়া তরুণ-তরুণীদের পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করেন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী। এতে ৩৫জন ছেলে এবং ১৪জন মেয়ে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এ সময় তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন জেলা পুলিশ। কোনো প্রকার হয়রানি, সুপারিশ এবং ঘুষ ছাড়া পুলিশের গর্বিত সদস্য হতে পেরে খুশিতে আত্মহারা হত দারিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারে এসব তরুণ-তরুণী।
জানা গেছে, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় জানুয়ারি ২০২৪ এর ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদের নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের মাধ্যমে তাদের নির্বাচিত করা হয়। নিজ যোগ্যতায় ও মেধায় চাকরির ফলাফল পাওয়া মাত্রই ৪৯জন তরুণ-তরুণী আনন্দে বিমোহিত হয়। এ সময় পুলিশের ড্রিল শেড মুহূর্তের মধ্যে পরিণত হয় আনন্দ ও কান্নার মিলনমেলায়। অনেকের নাম ঘোষণার পরপরই দুই নয়ন অশ্রুসিক্ত হয়। অনেকেই চাকরি পেয়ে আনন্দ উল্লাস করেন।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী গণমাধ্যমকে বলেন, নিজের যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে ৪৯জন তরুণ-তরুণী পুলিশের এই চাকরি পেতে তাদের অনলাইন আবেদন খরচ বাবদ জনপ্রতি খরচ হয়েছে মাত্র ১২০ টাকা।
যারা আজ নিয়োগ পেয়েছেন তারা সবাই নিজেদের যোগ্যতায় ও মেধায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। এতে তাদের কোনো যোগাযোগ, লবিং ও ঘুষ বিনিময় করতে হয়নি।
তিনি আরো বলেন-
আশা করছি আজকে যারা পরীক্ষা উত্তীর্ণ হয়ে বাংলাদেশ পুলিশের নতুন সদস্য হলেন তারা সবাই দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করবে। তাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
এসময় নিয়োগ বোর্ডের সদস্য যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) নুর-ই-আলম সিদ্দিকী ও ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ঝিনাইদহ সার্কেল) মীর আবিদুর রহমান, সহ প্রার্থী ও তাদের অভিভাববৃন্দ এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।