আজহারুল ইসলাম সাদী, স্টাফ রিপোর্টার:
পান সুপারি খেয়ে মারা গেছে এমন খবরের ভিত্তিতে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক আবু সাঈদ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরাতহাল শেষে থানায় এনে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে এর মর্গে প্রেরণ করে।এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকাল ৪ টার সময় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের দেয়া গ্রামে।নিহত স্কুল ছাত্রীর নাম ফারিয়া পারভীন( ১৩) সে উপজেলার দেয়া গ্রামের ইলেকট্রিক মিস্ত্রি শেখ রবিউল ইসলাম ওরফে আইওর কন্যা এবং দেয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী।
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) বিকালে সাংবাদিকরা সরেজমিনে দেয়া গ্রামে যাওয়ার পর নিহতের বাবা শেখ রবিউল ইসলাম, মা লাইলী বেগমসহ একাধিক ব্যক্তি জানান বৃহস্পতিবার সকালে নিহত স্কুল ছাত্রীর বাবা এবং মা সহ অন্যরা নানার বাড়িতে বেড়াতে যায, নিহত স্কুলছাত্রী ফারিয়া এবং তার বোন ফারহানা বাড়িতে ছিল। বিকাল আনুমানিক ৪টার সময় বোন ফারহানা পার্শ্ববর্তী চাচার বাড়িতে বেড়াতে যায়। এই সুযোগে ফারিয়ার নির্জন কক্ষে ঢুকে ধর্ষণ চেষ্টা চালালে ব্যর্থ হয়ে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঘরের আড়ায় হাঁটুগাড়া অবস্থায় ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়। পরে বিকাল আনুমানিক ৫টার সময় তার বোন ফারহানা ঘরে প্রবেশ করে বোনকে ওই অবস্থায় দেখে চিৎকার করে। চিৎকার শুনে প্রতিবেশী মনিরুল ইসলাম এসে নিহত ফারিয়া কে ঝুলন্ত হাঁটু গাড়া অবস্থায় নামিয়ে ঘরের খাটের উপর শুইয়ে দেয়। সন্ধ্যায় তার বাবা-মা বাড়িতে আসলে থানায় খবর দেয়। ওই সময় তার গালে পান সুপারি থাকায় সবার ধারণা ছিল সে পান সুপারি খেয়ে মারা গেছে। কিন্তু সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করার সময় তার নিম্নাঙ্গে রক্তক্ষরণ দেখে বিষয়টি নিয়ে ধর্ষণের নানান গুঞ্জন ওঠে। এ ব্যাপারে থানার উপ পরিদর্শক আবু সাঈদ সাংবাদিকদের জানান,বিষয়টি রহস্যজনক হওয়ায় লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।