সাতক্ষীরার শ্রীউলায় অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ ঘাতক স্বামী সহ পরিবারের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় রোববার
ভোর সাড়ে ৫টায় সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের নসিমাবাদ গ্রামের গৃহবধূর শাশুড়ি নাজমা বেগমকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
ঘাতক স্বামীসহ পরিবারে অন্যরা সবাই পলাতক রয়েছে।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ মমিনুল ইসলাম পিপিএম এর নের্তৃত্বে সাহসী ওসি (তদন্ত) জাহাঙ্গীর হোসাইন, এস আই নবাব সহ সঙ্গীয় ফোর্স দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছিয়ে অন্তঃসত্তা গৃহবধু আছমা খাতুনের বাড়ির বারান্দার ক্লক্সিবল গেটে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে।
জানা গেছে শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়নের খেজুরআটি গ্রামে আব্দুস সাত্তার সরদারের কন্যা আসমা খাতুন (২২) কে পার্শ্ববর্তী আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের নসিমাবাদ গ্রামের নূর মোহাম্মদ সানার ছোট পুত্র আরিফুল সানা (২৮) এর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই মটর সাইকেল কেনার বায়নায় স্ত্রীর মাধ্যমে শশুরের কাছে ২ লক্ষ টাকা দাবী করেন। গৃহবধু আসমা খাতুন তার পিতাকে একথা জানালে তার পিতা বলেন আমি গরীব মানুষ এত টাকা কোথায় পাব।
যৌতুকের টাকা না দিতে পারায় স্বামী আরিফুল ক্ষিপ্ত হয়ে অন্তঃসত্তা গৃহবধুকে মারধর ও খারাপ ব্যবহার করে বাড়ি হইতে বের করে দিলে গৃহবধু আছমা খাতুন পুনরায় বাপের বাড়িতে চলে যান।
আরিফুল তার শশুরকে জানিয়ে দেন তার দাবীকৃত মোটর সাইকেল কেনার ২ লক্ষ টাকা দিলে আসমাকে নিয়ে ঘর সংসার করবে। অনেক চেষ্টা করেও স্বামী স্ত্রীর ঘর সংসার জোড়া লাগাতে না পেরে অবশেষে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যালে পিতা আব্দুস সাত্তার কন্যা আসমাকে বাদী করে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দায়ের করেন।
আরিফুল ও তার পরিবারের লোকজন বিজ্ঞ আদালতের বিচারকের নিকট ক্ষমা চেয়ে অঙ্গীকার নামা দিয়ে স্ত্রীকে বাড়ি নিয়ে যান। ঘটনার কিছুদিন যেতে না যেতেই কেন তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে হয়রানী করা হলো ও ২ লক্ষ টাকা গাড়ী কেনার টাকা দিল না এ নিয়ে কথা কাটাকাটি একপর্যায়ে প্রায় গোলযোগ করত। অবশেষে ঘটনার দিন ভোর রাতে পরিকল্পিত ভাবে তাকে মারপিট করতে থাকে। একপর্যায়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়লে আত্মহত্যা করেছে এমন প্রচার করে
গলায় ফাস দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে গ্রামের লোকজনকে জানায়।
এ ব্যাপারে আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মমিনুল ইসলাম বলেন খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা পূর্বক সুরোতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ ময়না তদন্ত জন্য সাতক্ষীরা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে পুলিশ যাওয়ার আগেই ঘাতক স্বামী সহ পরিবারের অন্যান্যরা পালিয়ে যায়। নিহতের শাশুড়ী পার্শ্ববর্তী এক গ্রামে আছে এমন খবর পেয়ে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় তাকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আসমার বড় ভাই সাইফুল সরদার বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় ৫ জনকে বাদী করে একটি এজাহার দাখিল করেছেন।