ক্রাইম রিপোর্টারঃ
নগরীতে আলোচিত সানি হত্যায় মামলার প্রধান আসামি মঈন ওরফে আন্নাফ সহ আরো ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫। কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট থানাধীন প্রতাপ গ্রামের মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বিদ্যুতের বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। সানি হত্যার পর তারা আত্মগোপনে চলে যায় এবং দেশের বাইরে পালানোর চেষ্টা করেছিল। তবে তার আগেই র্যাব-৫ তাদের গ্রেপ্তার করে।
আজ শুক্রবার বিকেলে র্যাব-৫ এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনার র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার। গ্রেফতারকৃতরা হলেন মো: মঈন ওরফে আন্নাফ (২০), মোসা: বিথী (৩০) ও তাদের সহযোগী হাবিবা কুমকুম ওরফে সাবা ঐশী (১৯)।
র্যাব-৫ এর অধিনায় লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার জানান, আন্নাফের নেতৃত্বে একটি কিশোর গ্যাং পরিচালিত হতো। পূর্ব শত্রুতার জেরে ৩ জুলাই রাতে সানিকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায় আন্নাফ, সিফাত, সাবা ঐশী। ওই রাতেই রাজশাহী মহানগরীর হেতেমখান সবজি পাড়া এলাকায় আন্নাফ তার আরো সহযোগীদের নিয়ে একটি মসজিদের পাশের রাস্তায় সানিকে উপর্যপুরী কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে।
পরবর্তীতে আন্নাফের মা বিথী রাজশাহী নগরীর লক্ষীপুর মোড়ে অবস্থিত খান বাংলা রেস্টুরেন্টের মালিক মোঃ খোকনের সহযোগিতায় একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করেন। সেই মাইক্রোতে করে তারা প্রথমে নারায়ণগঞ্জ পরে গাজীপুর হয়ে কুড়িগ্রামে পালিয়ে যায়। কুড়িগ্রামে তারা বিদ্যুত নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় নেয় এবং সেই বাড়ি থেকে র্যাব এর একটি টিম তাদের আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সানি হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।
এর আগে ৬ জুলাই একই মামলায় শাহীকে (১৯) ঢাকা মহানগরীর শ্যামলী থেকে এবং রাহিমকে (১৯) নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে র্যাব-৫। শাহী রাজশাহী নগরীর হেতেমখান এলাকার শফিকের ছেলে এবং রাহিম একই এলাকার মৃত সোহেলের ছেলে। অপর দিকে ৫ জুলাই আনিম (১৮) নামে অপর এক আসামিকে গ্রেফতার করে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ।
সানি হত্যা মামলায় আসামিরা হলেন, মঈন ওরফে আন্নাফ, তার মা বিথী, সিফাত, রাহিম, সোহরাব খান লাল, শাহী, শিউলি ও অনিম। এর বাইরে অজ্ঞাতনামা আরও অন্তত ৯ জনকে একই মামলায় আসামি করা হয়।