শনিবার সরকারী ছুটি থাকা সত্বেও নওগাঁর সাপাহারে গ্রামীণ ব্যাংকের কিস্তি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। গ্রামীণ ব্যাংকের সাপাহার শাখার আওতাধীন প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে কিস্তি আদায় করছেন মাঠকর্মীরা এমনটাই অভিযোগ ভুক্তভোগী মহলের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া একটি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী জানা যায়, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সরকার ঘোষিত পরিবর্তিত অফিস সময় সূচীর অনুবর্তনে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ২৪ আগস্ট ২০২২ তারিখ হতে বাংলাদেশে কার্যরত সকল ব্যাংক -কোম্পানীর লেনদেনের সময়সূচী হবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। যা ব্যাংক কোম্পানী আইন ১৯৯১ সালের ৪৫ ধারার ক্ষমতাবলে জারি করা হয়।
বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত একটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রবিবার হতে বৃহষ্পতিবার পর্যন্ত সকাল ৮টা হতে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ব্যাংক,বীমা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদির দাপ্তরিক সময়সূচী সকাল ৯টা হতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলমান থাকবে। এই প্রজ্ঞাপন থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, শুক্রবার ও শনিবার সরকারী ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীণ ব্যাংক সাপাহার শাখায় কর্মরত কর্মীরা সরকারী নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অফিসে কাজ করছে। অপর দিকে শনিবার সরকারী ছুটির ঘোষণা থাকলেও ওই দিন দেদারছে কিস্তি আদায় করছেন ব্যাংকে কর্মরত কর্মীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রাহক বলেন “ শুক্রবার-শনিবার সরকারী ছুটি। সব প্রতিষ্ঠান প্রায় বন্ধ। কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংকের লোকেরা এসে কিস্তি না নিয়ে যায় না”।
সাপাহার শাখার কয়েকজন কর্মী নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, “আমরা ছোট পোষ্টে চাকরী করি। আমাদের উর্ধ্বমহল চাপ সৃষ্টি করলে আমাদের কালেকশনে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকে না”।
সাপাহার এরিয়ার এরিয়া ম্যানেজার আব্দুর রহিমের সাথে কথা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন “ এমনিতে কর্মীরা যায়। হয়তো কারো বকেয়া আছে বা শনিবারে দিতে চেয়েছে এমন লোকের কাছে কর্মীরা যায়”।
এদিকে সরকারী নির্দেশনা না মানায় নোবেল বিজয়ী এই প্রতিষ্ঠানের প্রতি আক্ষেপ প্রকাশ করেন এলাকার সচেতন মহল।