নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বাঙলা কলেজ শাখার সাবেক ভারপ্রাপ্ত -সভাপতি ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বৃহত্তর মিরপুর থানা ছাত্রলীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সহ-সভাপতি এস আহমেদ শিমুল ভাই হেফাজতের ডাকা হরতালের দিনে মোটরসাইকেল করে গুলিস্থানের আওয়ামী লীগ অফিসে যাবার সময় দৈনিক বাংলার মোড়ে হেফাজত কর্মীদের সাথে হরতাল বিরোধী কথা বলতে গেলে হেফাজত কর্মীরা তাকে আক্রমণ করে। এ সময় তিনি তার সহযোগী সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী সোহেল কে রক্ষা করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। হেফাজত কর্মীদের কয়েকজন তাকে বাশ দিয়ে আঘাত করতে গেলে তিনি আত্মরক্ষা করতে গিয়ে মুখে আঘাত প্রাপ্ত হন। এরমধ্যে কয়েকজন পথচারী তাকে রক্ষা করে সেখান থেকে চলে যেতে সহযোগিতা করেন। একজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতার এমন সাহসী পদক্ষেপ প্রত্যক্ষদর্শী সবাইকে অবাক করেছে। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় এই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা দলের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে যখন ছিলো তখন ঢাকা শহরের রাজপথে স্লোগান মিছিল মিটিংয়ে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। দলের দুঃসময়ে সাবেক এই ছাত্রনেতা জীবনের মায়া ত্যাগ করে বিএনপি জামাতের বিরুদ্ধে সদা সর্বদা রাজপথে ছিলেন। আজ দল ক্ষমতায় অথচ এস আহমেদ শিমুল দের মত কর্মীদের দলে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। দলের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনে হাইব্রিডরা পদ পদবী পাচ্ছে কিন্তু এইসব ত্যাগী ছাত্রনেতাদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে। শিমুলের মত একজন দক্ষ ত্যাগী জনপ্রিয় সাবেক ছাত্রনেতাকে দলের সহযোগী সংগঠনে মূল্যায়ন করলে দল আরও সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী হবে সেকথা নিঃসন্দেহে বলা যায়। ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রনেতারা শিমুল সম্পর্কে বলেন, দলের সহযোগী সংগঠনে তাকে মূল্যায়ন করা উচিত। মাননীয় নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপা বলেছেন ত্যাগীরা অভিমানী হয়, তবে বেইমান হয় না। দলের কেন্দ্রীয় নের্তৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, শিমুল যেনো অভিমানে হারিয়ে না যায়, তাকে দলে মূল্যায়ন করুন। দলকে সে জীবনের বিনিময়ে সর্বোচ্চ সেবা দিবে।
Leave a Reply