নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সারাদেশের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।কিন্তু নির্দেশনা না মেনে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এসব অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা।সন্দ্বীপের বিভিন্ন অলিগলি ও প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দাপিয়ে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে।সারা দেশে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিষিদ্ধ হলেও সন্দ্বীপ উপজেলায় যেন বৈধতা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে,চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায় দীর্ঘাপাড় ঘাট দিয়ে পাঁচটি অটোরিকশা মালের বোটে করে সন্দ্বীপ এসেছে।সাথে সাথে সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসাকে ফোন করলে তিনি দীর্ঘাপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে ৩টি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আটক করতে সক্ষম হোন।বাকী দুটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার কোন হদিস মিলেনি এখনও।অথচ একসাথেই পাঁচটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছিলো সেই বোটে।
খবর নিয়ে জানা যায়,এইসব ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মালিক কালাপানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলিমুর রাজি টিটুর বড় ভাই কালাপানিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান আরমানের।
এই বিষয়ে মনিরুজ্জামান আরমান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন ” আমি মোঃ মনিরুজ্জামান(আরমান)দীর্ঘদিন যাবত অটোর ব্যবসার সাথে জড়িত।অটো যদি অবৈধ হত বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় অনুমোদিত শোরুমে বিক্রি হতো না।এদেশে বৈধভাবে আমদানি হত না। কোন অবৈধ ব্যবসার সাথে আমি বা আমার পরিবারের কেউ কখনো জড়িত ছিল না,হবেও না”।
এই বিষয়ে মনিরুজ্জামান আরমান আরো বলেন,অটো অবৈধ হলে অনুমোদিত শোরুমে কেন বিক্রি হয়।আগে সেটা বন্ধ করেন না কেন।আমি আইনি মোকাবিলা করতে প্রস্তুত আছি।অটোগুলো আমারই।
এই বিষয়ে সন্দ্বীপ থানার অফিসার্স ইনচার্জ শহীদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা রাস্তায় দেখলেই আটক করি।আমাদের অভিযান চলমান আছে।
এই বিষয়ে সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন তথ্য পেয়ে আমরা ৩টি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা জব্দ করেছি।এইসব ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মালিক পাওয়া যায়নি।মালিক পেলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এদিকে সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন অটো রিকশা মালিক পাওয়া যায়নি অন্যদিকে অটোরিকশার সন্দ্বীপ কালাপানিয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান আরমান বললেন এই অটোরিকশা গুলোর মালিক তিনি।
সন্দ্বীপ উপজেলা যেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা স্বর্গরাজ্য।ওই উপজেলায় রয়েছে দুই হাজারেরও বেশি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা।এই সব অটোরিকশার চার্জ দিতে রয়েছে অবৈধ বৈদ্যুতিক সংযোগ।এসব অবৈধ বৈদ্যুতিক সংযোগ বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মচারীদের সহায়তায় চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সারাদেশের অ্যাসিড ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।চলাচল, আমদানি ও উৎপাদন নিষিদ্ধ করেছে এইসব ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। তবুও অবৈধভাবে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি উপজেলা সন্দ্বীপে প্রতিনিয়ত ঢুকছে অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা।