 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    
সেলিম মাহমুদ স্টাফ রিপোর্টার:
ঢাকাসহ সারাদেশে ক্রমবর্ধমান সাংবাদিক নির্যাতন ও মিথ্যা মামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তারা মনে করছেন, এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে সাংবাদিকরা সত্য প্রকাশে তাদের মনোবল হারিয়ে ফেলবেন,যা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য একটি অশনি সংকেত।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকের উপর হামলা,মারধর এবং মিথ্যা মামলা দায়েরের ঘটনা ঘটেছে। অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করতে গিয়ে অনেক সাংবাদিক নানা ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সাংবাদিক নেতারা বলছেন,এসব ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাবের (বি,সি,পি,সি) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খান সেলিম রহমান বলেন- “সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কিন্তু আমরা দেখছি উল্টো চিত্র। যারা জনগণের কাছে সত্য তুলে ধরেন, তারাই আজ নির্যাতনের শিকার। মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা চলছে।সারাদেশে সাংবাদিকদের উপর হামলা ও মিথ্যা মামলা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর সরাসরি আঘাত। এভাবে চলতে থাকলে সাংবাদিকরা নির্ভয়ে কাজ করতে সাহস পাবেন না। এর ফলস্বরূপ, জনগণ সঠিক তথ্য জানা থেকে বঞ্চিত হবে।”
বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব(বি,সি,পি,সি)সাধারণ সম্পাদক মাহিদুল হাসান সরকার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি বা গোষ্ঠী তাদের অপকর্ম ঢাকার জন্য সাংবাদিকদের টার্গেট করছে। দুর্বল তদন্ত এবং বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে অপরাধীরা সহজেই পার পেয়ে যাচ্ছে।অবিলম্বে সাংবাদিক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন এবং সাংবাদিকদের উপর হামলা ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।একই সাথে সারাদেশে সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব
বি,সি,পি,সি)এর সহসভাপতি মোজাম্মেল হোসেন বাবু বলেন-গণতান্ত্রিক সমাজে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাংবাদিকদের নির্বিঘ্নে কাজ করার পরিবেশ তৈরি করা অপরিহার্য। সাংবাদিক নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা সংবিধান পরিপন্থী এবং আইনের শাসনের পরিপন্থী।”
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা এবং জনগণের কাছে সত্য তথ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই।
এই পরিস্থিতিতে, দেশব্যাপী সাংবাদিক সমাজ গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তারা আশা করছেন, সরকার অবিলম্বে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।