মোঃ লুৎফর রহমান লিটন
সিরাজগঞ্জ বিশেষ প্রতিনিধিঃ-সিরাজগঞ্জে ন্যাশনাল ট্রাভেলস যাত্রীবাহী বাস ডাকাতি জড়িত ৬ জন আন্তঃজেলার ডাকাতকে গ্রেফতার, লিন্ঠিত মোবাইল ও ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ৫ টি ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (১৯ অক্টোবর) বেলা সারে ১১ টার সময় সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মো. আরিফুর রহমান মন্ডল।
গ্রেফতারকৃত ডাকাতেরা হলো, মো. আলমগীর শেখ (৩২), মানিকগঞ্জ জেলা বড়লাউতারা গ্রামের মো. খোরশেদ শেখের ছেলে, মো. সাদেক মাতব্বর (সানি)(৩০) ফরিদপুর জেলার শঙ্করপাশা গ্রামের মো. গফুর মাতুব্বরের ছেলে,মো. সাইফুল ইসলাম (২২) মানিকগঞ্জ জেলার কলমা জাফরগঞ্জ গ্রামের মো. মোস্তফা কামালের ছেলে,মো. রাজিব হাসান(২৩) ঢাকা জেলার কলাম পূর্বপাড়া মো. আলাউদ্দিন আলমের ছেলে, মো. জাহিদ মোল্লা(৪০) মানিকগঞ্জ জেলার আলোকদিয়ার চর খাসপাড়া গ্রামের সালাম মোল্লার ছেলে,মো. শরিফ মোল্লা (২৩) মানিকগঞ্জ জেলার বড়লাউতারা গ্রামের মো. হাকিম মোল্লার ছেলে।
উদ্ধারকৃত আলামত, মোবাইল মোট ১৭ টি ও ডাকাতদের অস্র বহনের ব্যাগ ১ টি এবং ৫ টি ধারালো ছুড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাত সারে ৭ টার দিকে ন্যাশনাল ট্রাভেলস এর চাপাইগঞ্জগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে বাইপাইল হতে টিকিট ছাড়া ৬ জন যাত্রী জনপ্রতি ২৫০ টাকা ভাড়ায় সিরাজগঞ্জ হাটিকুমরুল গোলচত্বরে যাওয়ার উদ্দেশ্য বাসে উঠে। বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পরই যাত্রীবেশি অজ্ঞাতনামা ডাকাতগুলো বাসের চালককে ছুরিকাঘাত করে বাসটি তারা তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। হেল্পার,সুপারভাইজার, ২৯ জন যাত্রীদের মারপিটসহ জিম্মি করে ও হত্যাট হুমকি দেয়। অতঃপর ডাকাতরা যাত্রীদের নিকট থেকে ১৭ টি মোবাইল ফোন ও নগদ ২,১৫,০০০ টাকা লুন্ঠন করে। এরপর ডাকাতরা বাসটি প্রথমে বগুড়া দিকে যায় এবং ঘুড়কা এলাকা থেকে ইউটার্ন করে। উল্লাপাড়া রেইলগেটের নিকট পৌছালে ট্রেনের সিগনাল পড়ায় রাস্তা বন্ধ হয়ে যায় এবং ডাকাতরা সেখানে বাসটি রেখে পালিয়ে যায়।
সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. আরিফুর রহমান মন্ডল বলেন, নিবিড় তত্বাবধানের কারনে ডাকাতির সহিত জড়িত ব্যক্তিদের সনাক্তপূর্বক মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় ও দৌলতপুর থানা এলাকা,ঢাকা জেলার সাভার ও আশুলিয়া থানা এলাকায় নিদ্রাহীন, বিরামহীন ও নিরবিচ্ছিন্ন অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে জড়িত ৬ জন আন্তঃজেলা ডাকাতকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। জানাগেছে দেশের বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি করাই তাদের পেশা।
গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ প্রস্তুতি শেষে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।