সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ঘরে ঘরে দেবীদুর্গার আগমনী বার্তা। আর মাত্র কিছুদিন পর শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব দুর্গাপূজা। এজন্য মূর্তি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের মৃৎশিল্পীরা।উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নে সরেজমিন ঘুরে প্রতিমা শিল্পীদের ব্যস্ততার চিত্র দেখা গেছে।
প্রতিমা শিল্পীদের অতি ভালোবাসায় ও নিপুণ আঁচড়ে তৈরী হচ্ছে একেকটি প্রতিমা। সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়ের মধ্যদিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তাই চার দিকে চলছে এখন প্রতিমা তৈরীর কাজ। দুর্গাপূজা বাঙ্গালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সব চেয়ে বড় উৎসব। তাই মা দুর্গাকে বরণ করে নেয়ার জন্য এখন থেকেই দিনখন গোনার পালা শুরু করেছেন সনাতন হিন্দু ধর্মলম্বীরা।
উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির তথ্য মতে, উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় এবছর মোট ৭৭ টি পূজা মন্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। যতদিন ঘনিয়ে আসছে ততই মানুষের মাঝে দেখা দিচ্ছে পূজার প্রস্তুতি।
উপজেলার প্রতিমা শিল্পী রণজিত ও জীবন কুমার পাল বলেন, এ বছরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মন্ডপে প্রতিমা তৈরীর কাজ নিয়েছেন। বংশ পরম্পরায় এই কাজ করে আসছি। এই বছরে আমাদের প্রতিমা তৈরীতে বেশি পোষাবে না। কারণ প্রয়োজনীয় উপকরণের দাম ও কারিগরের মজুরিসহ সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে। তবুও আনন্দের সঙ্গে প্রতিমা তৈরী করছি আমরা।
উপজেলার সোনাখাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুবল কুমার পোদ্দার জানান, এবছর আমাদের ইউনিয়নে ১৩টি পূজা মন্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। এবছর পূজা মন্ডপে সার্বিক তত্বাবধান ও নিরাপত্তার কথা ভেবে প্রতিটি পূজা মন্ডপের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের তালিকা করা হয়েছে ।আগামী শুক্রবার সকলের সাথে এ বিষয়ে আলোচনায় বসবে ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদ।
রায়গঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী চন্দন কুমার সরকার জানান, হিন্দু ধর্মালম্বীর সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। এবার উপজেলার নয়টি ইউনিয়নে মোট ৭৭টি দুর্গামন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।এর মধ্যে প্রতিটি পূজামন্ডপে কাজ শুরু হয়েছে। এবং আমরা প্রতিটি পূজা কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। যেহেতু মন্দিরে প্রতিমা তৈরীর কাজ হচ্ছে সেগুলোতে নিজ উদ্দ্যোগে পাহারা দেয়ার কথা অবগত করা হয়েছে।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৃপ্তি কণা মন্ডল এ প্রতিবেদকে জানান,এবছর শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘীরে রায়গঞ্জ উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন।পূজা মন্ডপ গুলোতে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে আলোচনা সভা করা হয়েছে।থানা পুলিশ, আনসার,গ্রাম পুলিশ সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বিক তত্ববধানে থাকবেন।তিনি আরো জানান, সরাষ্ট্র মস্ত্রণলায় থেকেও কিছু দিক নির্দেশনা এসেছে সেই মোতাবেক কাজ করবে উপজেলা প্রশাসন।
এ বিষয়ে রায়গঞ্জ থানার (ওসি) তদন্ত ওয়াসিমুল বারী জানান,আমরা রায়গঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সকল সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের সাথে একটি আলোচনা সভা করেছি । প্রতিটি পূজা মন্ডপের সার্বিক নিরাপত্তায় রায়গঞ্জ থানা পুলিশ নিয়োজিত থাকবে।