
মোঃ রেজাউল করিম খান বিশেষ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের পৌর শহরের ৯নং ওয়ার্ডের গয়লা তাজ কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অতর্কিতভাবে বাবা ছেলেকে নির্মমভাবে প্রাণ নাসের চেষ্টা করা হয়। বাবা ছেলে বর্তমান ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ইমারজেন্সি ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,তারা সিরাজগঞ্জ শহরের পৌর এলাকার ৯ নং ওয়ার্ড গয়লা গ্রামে আজ দুপুর ২ টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পরবর্তীতে অবস্থা ভয়াবহ মারামারিতে-রুপ নেন। সেখানে বাবা ও ছেলেসহ ৩ জনকে গুরুতর আহত করা হলে আশেপাশের মানুষ তাদেরকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।পরবর্তীতে ছেলে মোঃ ইমন শেখ এর অবস্থা গুরুতর দেখে সার্জারি ওয়ার্ডের ডাঃ তাকে ওটিতে নিয়ে যায় সেখানে জরুরী ভাবে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। আহত মোঃ মাসুদ শেখ বলেন, তাদের পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে পূর্ব শত্রুতা রয়েছে।এই সম্পত্তি নিয়ে কয়েকবার বিচার সালিশ করা হয়েছে। যার রায় তারা পেয়েছেন কিন্তু অপরপক্ষ সেই রায় মানতে রাজি নন। যার ফলশ্রুতিতে তাদেরকে বিভিন্নভাবে প্রাণনাসের হুমকি দেন। তিনি জানান, আজ দুপুরে তাদের বাসায় লোক সংখ্যা না থাকায় দেয়ালে কাঁথা রোদে দেওয়ার জন্য তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার উপর অতর্কিতভাবে হামলা করেন। তাকে লাঠি ও রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারতে থাকেন। পরবর্তীতে তার ছেলে ইমন তাকে বাঁচাতে আসলে তাকেও হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ দিলে হাত দিয়ে বাধা দেওয়ায় হাত কেটে যায়। পরের বার অন্যজন মাথায় রামদা দিয়ে আঘাত করেন।ইমন সেখানেই জ্ঞানহারা হয়ে মাটিতে পড়ে যান।পরবর্তীতে আশেপাশের লোকের সহায়তায় তার স্ত্রী তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সার্জারি ওয়ার্ডের ডাঃ কৃষ্ণ কুমার জানান, মোঃ ইমন শেখ তার আওতায় চিকিৎসা দিন রয়েছে। ধারালো অস্ত্র দ্বারা আঘাত করায় মাথায় অনেকটা গভীর ক্ষত হয়েছে প্রায় ১.৫ সেমি পরিমাণ ডিপ হয়েছে এবং হাতেও অনেকখানি ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরও জানান, মাথার গভীর ক্ষতের জন্য পাঁচটা সেলাই দেয়া হয়েছে এবং হাতে দেয়া হয়েছে ছয়টি। ওটিতে নেয়া হয়েছিল বর্তমানে একটু স্বস্তি থাকলেও সঠিক অবস্থা এখনো বলা যাচ্ছে না। ইমনের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় তার মা মোছাঃ আঙ্গুরী বেগম বলেন, আজকে মারামারির মতো কোন ঘটনা ছিল না। তার স্বামী ও ছেলেকে বিনা অপরাধে গুরুতর আহত করেছেন। তিনি আরও বলেন,সিরাজগঞ্জ থানায় অফিসার ইনচার্জ বরাবর এজাহার দাখিল করেছেন। পরবর্তীতে থানা থেকে তদন্তের পর তারা এ ব্যাপারে ধারা অনুযায়ী মামলা করবেন। তিনি তার স্বামী ও ছেলের ওপর প্রাণনাশের জন্য করা হামলার আইনিভাবে সুষ্ঠু বিচার চান।