জেলা ব্যুরো সিরাজগঞ্জঃ
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারের শমিং মল ও ছোট বড় দোকান গুলোতে জমে উঠেছে আগাম ঈদের নতুন পোশাক কেনাকাটা। বসে নেই দোকান মালিক ও দোকান কর্মচারিরা। উপজেলার চান্দাইকোনা, ভুঁইয়াগাতী,নিমগাছী, ধানঘড়াসহ হাটপাঙ্গাসী বাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গ্রাহকের রুচি আর পছন্দের সাথে তাল মিলিয়ে ক্রেতার সামনে তুলে ধরতে ব্যস্ত সময় পার করছেন করছেন দোকান মালিক ও কর্মচারিরা। সময় আর আধুনিকতা এসবের সাথে তাল মিলিয়েই নিত্য নতুন পোষাক সরবরাহ করাই মুল লক্ষ যেনো দোকান মালিকদের। তবে এবার উপজেলার হকার্স মার্কেট তথা বাহিরের দোকানগুলোতে তেমন ভীর লক্ষ্য করা যায়নি। বাইরের ব্যাবসায়ীরা বলছেন, এখনো ঈদের বেশ কিছুদিন বাকি রয়েছে। সামনের দিনগুলোতে আমাদের ব্যাবসাও জমে উঠবে বলে আশা করছেন হকার্স ব্যাবসায়ীরা।
সারি সারি ভাবে ঝুলে রেখেছেন বিভিন্ন ধরনের নিত্য নতুন পোশাক। গত দুই বছর করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আর গ্রাহকের হাতে নিত্য নতুন সময়মত প্রিয় পোশাক তুলে দিতে ব্যস্ত দোকান মালিক ও কর্মচারীরা। উপজেলার হাটঙ্গাসী নাহিদ নিউ মার্কেটে অবস্হিত অলফ্যাশনের শপিং মলের মালিক আলহাজ্ব রিয়াজ উদ্দিন বলেন, গত দুই বছর করোনার কারণে যে ঘাটতি হয়েছে আশা করছি এবার তা কাটিয়ে উঠতে পারবো। তাছাড়া আমাদের আয়ের একটা বড় অংশ বছরের দুইটি ঈদকে ঘীরেই।
দেখতে দেখতে আমাদের মাঝ থেকে চলে গেলো ১৫ টি রমজান। আজ ১৬ রমজান পালন করছি আমরা। আর কিছুদিন পরেই পবিত্র ঈদ। দুই বছর পর এবার ঈদে মানুষ নিত্য নতুন পোশাক ক্রয় করছেন। শাশ্রয়ী মুল্যেই বিক্রয় করছি আমরা।
এদিকে উপজেলার হাটপাঙ্গাসী বাজার প্রিয়তমা ফ্যাশনের মালিক মোঃ বুলবুল হোসেন জানান, গত দু বছর করোনাভাইরাসের কারণে আমরা দোকান মালিকেরা ব্যাপক সংকটে ছিলাম। এখন প্রত্যেক দিনই সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত কাস্টমার পাচ্ছি। শাশ্রয়ী মুল্যেই বিক্রি করছি। এদিকে ঈদের জামাকাপর ক্রয় করতে আশা কয়েকজন ক্রেতা জানান, গত বছর করোনার কারনে ঈদের জামা-কাপর ক্রয় করতে পারিনি। এবার করোনা নেই, তারপর দামও হাতের নাগালে, বলতে পারেন মনের আনন্দেই মার্কেট করছি। অপরদিকে উপজেলার গ্রামপাঙ্গাসী বাজারের আরেক দোকান মালিক মাসুদ রানা জানান, এবার ঈদের আগে কাস্টমারদের ব্যাপক সারা পাচ্ছি। আশা করছি গত দুই বছরের ঘাটতিটা পুষিয়ে নিতে পারবো।