মোঃ রেজাউল করিম খান বিশেষ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় বহুলী গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় মোঃ দেলোয়ার ইসলামের পুত্র মোঃ জুইসবল হাসান ও তার বাবা মোঃ দেলোয়ার ইসলাম দুজনের সমন্বয়ে ড্রাগন ফলের চা শুরু করেন।
তথ্যসূত্র জানা যায়, বাংলাদেশে ২০১০ সালে ব্যক্তি উদ্যোগে থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম থেকে দাগন ফলের বিষ আমদানি করা হয়। তারপর থেকে বাংলাদেশ বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন অঞ্চলে ড্রাগন ফলের চাষ করা হয়। ধীরে ধীরে এর পরিসর বেড়ে চলে ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ড্রাগন ফলের চাষ বেড়ে হয়েছে ৪০ গুণ। যা বর্তমান বাজারে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তারা প্রায় ৬২ শতক জমিতে এই ড্রাগন ফলের চাষ করেন। জমির চারদিকে বেড়া দিয়ে জমির চতুর্পাশ ঘেরা করে এই ফসলের চাষ করা হয়। মাটির উপর খুঁটি গেরে তার ওপর ডাগন ফলের গাছগুলোকে সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে।গাছগুলো সুরক্ষার জন্য খুটির উপরে বিভিন্ন চাকার টায়ার দিয়ে গাড়ির স্টেয়ারিং এর মত গোলাকার করে তার ওপর সুন্দরভাবে প্রতিটি গাছ সাজানো। গাছগুলোকে সারিসারি করে অনেকগুলো সারি তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি সারির মাঝে হালকা গর্ত আকারে ড্রেন তৈরি করা হয়েছে।
উদ্যোক্তা মোঃ দেলোয়ার ইসলাম বলেন, তিনি একজন বেসরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা। বর্তমানে অবসর জীবন যাপন করছেন বাসায় বসে অবসর সময় কাটানোর চেয়ে কোন কিছু করা ভালো। যার প্রেক্ষিতে তার ছেলে মোঃ জুইসবল হাসান ড্রাগন ফল চাষের উদ্যোগ নেন এবং ড্রাগন ফলের চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা নেন।পরবর্তীতে তাদের ধানি জমিতে চাষ শুরু করেন।
তিনি আরও বলেন, দুই বছর ধরে চাষ করছেন গত বছর খুব ভালো ফলন হয়েছে। এ বছরও চাষ পদ্ধতি সঠিকভাবে করছেন আশা করছেন এ বছরও খুব ভালো ফলন হবে।
কৃষি কর্মকর্তা মোঃ তারিকুল ইসলাম জানান, জুইসবল হাসান ও তার বাবা দেলোয়ার ইসলাম ড্রাগন ফলের চাষ করছেন। তারা সফল উদ্যোক্তা বাজার অনুযায়ী প্রতি কেজি প্রায় ৮০০ টাকা বিক্রি হয়।
তারা তরুণ, অবসরপ্রাপ্ত এবং নতুন উদ্যোক্তাদের ড্রাগন ফল চাষের জন্য আহব্বান করেছেন।