মোঃ লুৎফর রহমান লিটন সিরাজগঞ্জ বিষেশ প্রতিনিধি: আজ থেকে একশত এক বছর পূর্বে ১৯২২সালের এই দিনে তদানীন্তন পাবনা জেলার সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা হাটে তৎকালীন বৃটিশ সরকারের লেলিয়ে দেওয়া পুলিশ বাহিনী নিষ্ঠুরতম হত্যাকান্ড চালায়।এই হত্যাকান্ড প্রায় সাড়ে ৪হাজার বিলেতীপণ্য বর্জন আন্দোলনের কর্মীসহ সাধারণ হাটুরে জনতা শহিদ হন। তৎকালীন সময়ে উত্তরবঙ্গের ব্যবসায়িক জনপদ খ্যাত সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় সপ্তাহে ২দিন হাট বসত।
মাওঃ আঃ রশিদ তর্কবাগীশের নেতৃত্বে অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলনের কর্মীরা হাটে নামে বিলেতীপণ্য কেনাবেঁচা বন্ধ করতে।এ স্বদেশী আন্দোলনের কর্মীদের রুখতে পুলিশ বাহিনী তাদের নেতা তরুন যুবক আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশকে গ্রেফতার করে অমানবিক নির্যাতন করে।এ দৃশ্য দেখে প্রিয়নেতাকে মুক্ত করতে বিদ্রোহে ফেটে পরে সলঙ্গার সংগ্রামী জনতা।অবস্থা বেেগতিক হলে বৃটিশ পেতাত্মা তদানীন্তন পাবনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আর.এন.দাস,জেলা পুলিশ সুপার ও সিরাজগঞ্জ মহকুমা প্রশাসক এস.কে.সিংহের পরামর্শ করে গুলির নির্দেশ দিলে তখনি শুরু হয়ে যায় বৃটিশ লাল পাগড়ী ওয়ালা সশস্ত্র ৩৯জন পুলিশের বুলেট বৃষ্টি। মানুষের লাশ ও পশুর দেহ মিলে একাকার হয়ে যায় সলঙ্গার গো-হাট।স্বাধীনতাকামী মানুষের রক্তে রঞ্জিত হয় সলঙ্গার মাটি।
রক্তস্নাতএ হত্যাকান্ডে হতাহতের সংখ্যা সরকারি ভাবে সাড়ে ৪ হাজার দেখানো হলেও আরও বেশি ছিল বলে জানা যায়।যা জালিয়নবাগের হত্যাকান্ডকে হার মানায়।অথচ আমাদের ইতিহাস ও উপমহাদেশের ইতিহাসে স্বাধীনতা সংগ্রামের এই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা রহস্য জনক ভাবে চাপা পড়ে আছে।স্বাধীনতা সংগ্রামের রক্তসিঁড়ি রক্তাক্ত সলঙ্গা বিদ্রোহের ইতিহাস বিস্তৃতির অন্তরালে হারিয়ে যাচ্ছে। রক্তাক্ত সলঙ্গা বিদ্রোহের শত বর্ষ পেরিয়ে গেলেও পায়নি সরকারি স্বীকৃতি, সরকারি ভাবে পালন করা হয়না দিবসটি।তরুন প্রজন্মদের জানানোর জন্য পাঠ্যপুস্তকের ইতিহাসে লিপিবদ্ধ হয়নি।
নির্মিত হয়নি শহিদদের স্মৃতি সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা।মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশের স্মৃতি বিজোড়িত সলঙ্গা থানাকে পৌরসভা ও উপজেলায় রুপান্তর আজও হয়নি। জাতি হিসাবে আমরা সত্যিই বড়ই অকৃতঘ্ন।।