সিলেটে বানভাসি দের পাশে টিম “কল অন ডিউটি”।
হঠাৎ করে ফুলে ফেপে ওঠা পানিতে ভেসে গেলো কত প্রান,ঘর বাড়ি,গবাদিপশু,রাস্তা ঘাট৷সিলেট সদর সহ আশে পাশের এলাকায় কোমর থেকে বুক আবার কোথাও নাক ছুই ছুই পানি!এমন ভয়ংকর বন্যা বিগত ১২২ বছরে সিলেট বাসী প্রত্যক্ষ করেনি।
যখন চারদিকে খাবারের জন্য হাহাকার,পানির জন্য হাহাকার ঠিক তখনই মানবতার টানে সাড়া দিয়ে কয়েকজন তরুন ছুটে গেলো সিলেটের গোয়াইন ঘাটে।
উত্তরা মেডিকেল কলেজ ফর ওমেন্স এন্ড হসপিটালের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তাইয়েমুন নাহার মিম এর নেতৃত্বে ঢাকা মেডিকেল কলেজ এর ডাঃ ওমর বিন ইদ্রিস, দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ এর ডাঃ আবিদ হোসাইন এবং চায়না তিয়াংগং
ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম এই চারজন মিলে বিভিন্ন মাধ্যমে কিছু ফান্ড কালেক্ট করে প্রায় ৩০০ মানুষের জন্য শুকনো খাবার,ঔষধ,স্যালাইন,কাপড়, স্যানিটারি ন্যাপকিন এবং বাচ্চাদের জন্য দুধ নিয়ে রওনা দেয় সিলেটের উদ্দেশ্যে।
সিলেট থেকে গোয়াইন ঘাট যাওয়ার রাস্তা বিভিন্ন যায়গায় ভেঙে গিয়েছে যা যান চলাচলের জন্য সম্পুর্ন অনুপযোগী।এমন ঝুকিপূর্ণ রাস্তায় জীবন বাজি রেখে চারজন তরুন সিলেট পৌছে সিলেটে অবস্থানরত সিলেট লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী তানভীর আজাদ ইবন এর অকল্পনীয় সহযোগীতায় রওনা হলো গোয়াইনঘাটের উদ্দেশ্যে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমে সংস্কারকৃত রাস্তা দিয়ে গোয়াইনঘাটে পৌঁছাতে সক্ষম হয়।
গোয়াইনঘাট উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাকর্মকর্তা এবং ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন আশরাফ আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ তাদেরকে গোয়াইনঘাটে স্বাগত জানায়।ক্যাপ্টেন আশরাফ তার একটি বিশেষ টিম নিয়ে ত্রান সহায়তা নিয়ে যাওয়া চারজনকে সাথে করে সেনাবাহিনীর বিশেষ বোটে পুর্ব জাফলং এড়িয়ায় ভাসমান গ্রামের মানুষদের কাছে নিয়ে যায় এবং সেখানে সবাইকে সুষ্ঠু ভাবে ত্রান বিতরণে সহযোগীতা করে এবং এই এতকিছু আয়োজনে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব রকম সহযোগিতা এবং যোগাযোগ রেখে পাশে ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন তারেক।