চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত ও তিন নারীসহ ১৫জন আহত হয়েছেন।আহতদের মধ্যে ৯ জনের আবস্থা আংশকাজনক, আজ বুধবার(৩রা আগস্ট)সকাল ১১টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার পৌরসভার নুনাছড়া বহদ্দারপুল ও কুমিরা এলাকার ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,আজ বুধবার ৩রা আগস্ট সকাল ১১ টার দিকে নুনাছড়া ও বটতলের মধ্যবর্তী বহদ্দারপুল নামক স্থানের মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে একটি বাসের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।এতে সিএনজি চালক কোরবান আলী ঘটনাস্থলে মারা যান।আহত হন গাড়ির এক পরিবারের পাঁচ যাত্রী।গুরুতর আহত আবস্থায় তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্থানীয়রা।সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ঘটনার পরপর উত্তেজিত জনতা প্রায় ৩০ মিনিট পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।তাদের অভিযোগ হাইওয়ে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পালানোর সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।পরবর্তীতে সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন,হাইওয়ে পুলিশ দেখে সিএনজি ঘুরিয়ে উল্টো প্রথে চলে যাওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।সিএনজিকে বাচঁতে গিয়ে বাস আইল্যান্ডের উপর ওঠে যায়।এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা উত্তেজিত হয়ে দীর্ঘক্ষণ সড়ক অবরোধ করে রাখেন।খবর পেয়ে আমরা এসে তাদের সরিয়ে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করি।এর আগে সকাল ১০টার দিকে বড় কুমিরা মহাসড়কে দুইটি ৮নম্বর লোকাল বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত ১০ যাত্রী আহত হন।তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি নাজমুল হক জানান, দুটি ৮ নম্বর লোকাল বাসের সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়।ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেন।বাস দুইটি জব্দ করা হয়েছে।
সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নূর উদ্দিন রাসেদ জানান,দুটি দুর্ঘটনায় আহত ১১৬ জনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়।আহত ১৫ জনের মধ্যে ৯জনের আবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
