[ প্রতিবেদন: সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার এ আর ছায়েম ]
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার বনগাঁও উত্তরপাড়া জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা শফিকুর রহমান (৪২)-এর বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে।
অভিযুক্ত শফিকুর রহমান সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বনী গ্রামের মৃত আব্দুল বারীর ছেলে।
রবিবার (১০ মার্চ) দুপুরে ভিকটিমের ফুফু সোনারা বেগম (৩০) ছাতক থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত/০৩) এর ৯(১) ধারাসহ ৫০৬(২) ধারায় মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার বিস্তারিত
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে বনগাঁও উত্তরপাড়া জামে মসজিদে কোরআন শিক্ষার কার্যক্রম চলছিল।
গত ৬ মার্চ জোহরের নামাজের বিরতির সময় অন্যান্য শিক্ষার্থীরা মসজিদ ত্যাগ করার পর অভিযুক্ত শফিকুর রহমান কিশোরীকে মসজিদের হুজরা খানায় ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
পরিবার ও স্থানীয়দের কাছ থেকে ঘটনা জানার পর ভিকটিমের স্বজনরা থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও প্রেস ক্লাবের নিন্দা
এ বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করলে সিনিয়র সাংবাদিক এ আর ছায়েমের বিরুদ্ধে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াতে থাকে।
এ নিয়ে বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব তীব্র নিন্দা জানিয়ে সাংবাদিকের নিরাপত্তা ও মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
জাতীয় দৈনিক ‘মাতৃজগত’ পত্রিকার সম্পাদক খান সেলিম রহমান বলেন,
“সাংবাদিক এ আর ছায়েম পেশাদারিত্বের সঙ্গে সত্য প্রকাশ করেছেন। যারা মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রশাসনের বক্তব্য ও স্থানীয় প্রতিক্রিয়া
ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান আকন্দ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,
“অভিযুক্ত শফিকুর রহমানকে গ্রেফতার করে বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মামলাটির তদন্ত চলছে এবং দোষী প্রমাণিত হলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ ঘটনায় স্থানীয় জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে। এলাকাবাসী দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন এবং এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
পুলিশের আশ্বাস
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়, মামলাটির তদন্ত জোরদার করা হয়েছে এবং ভিকটিমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
সত্য প্রকাশের পথে সাংবাদিকরা অবিচল থাকবে— এটাই সমাজের প্রত্যাশা।