প্রতিদিনই সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে নারী পুরুষ শিশুসহ নানা বয়সী মানুষ! শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন উপজেলা থেকে সর্দি জ্বর নিউমোনিয়া ও হাঁপানি রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শিশুরা,পর্যাপ্ত শয্যা না থাকার কারণে কনকনে শীতেও হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা!সরজমিন পর্যবেক্ষন করে দেখা যায় হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের আশে পাঁশে প্রচুর দূর্গন্ধ,ভর্তি রোগীর বিছানা পর্দাসহ সব কাপড়ই ময়লা। বালিশ গুলোতে তেল চটচটে। চিকিৎসা নিতে আসা শিশু অযত্নে অবহেলায় পড়ে আছে ঘরের মেঝেতে! শুধু তাই নয় শিশু ওয়ার্ডের সামনে নেই হাত ধোয়া কিংবা জীবানু নাশকের ব্যবস্থা। হাসপতাল সূত্রে জানা যায় গত এক সপ্তাহে ঠান্ডাজনিত রোগে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ৭০০ জন শিশু ভর্তি হয়েছে,যার ফলে হাসপাতালে বেড়েছে শিশু রোগীর চাপ। সিলেটের সমাচারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডাক্তার (RMO) রফিকুল ইসলাম বলেন আমরা হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছি,তবে লোকবল ও চিকিৎসক সংকটের কারণে আমাদের অনেকটা হিমশিম খেতে হচ্ছে! ঠান্ডাজনিত নানা রোগের প্রকোপে প্রতিদিনই জেলার সদর হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন নারী শিশুসহ নানা বয়সী মানুষ। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন উপজেলা থেকে ব্যাপক হারে রোগী আসছে। আমবাড়ী গোপালপুর গ্রাম থেকে আসা আরশাদ আলী সিলেটের সমাচারকে বলেন আমার ছেলে গত কয়েকদিন যাবৎ খুব অসুস্থ,স্থানীয় ডাক্তার দেখিয়েছি কিন্তূ কোনো লাভ হয়নি’গতরাতে সুনামগঞ্জ নিয়ে এসেছি কিন্তু হাসপাতালের শিশু ওয়াডের চাঁরপাশে খুব দূর্গন্ধ।জামালগঞ্জ ভিমখালী ইউনিয়নের ভান্ডা গ্রামের মাহমুদা বলেন তিনদিন হয় ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছি কিন্তু হাসপাতালে খুব নোংরা বিছানা কেউ পরিস্কার করতে আসে না, এছাড়া গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে আছি বিনামূল্যে একটি ঔষদও পাইনি।