সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন
ঘোষনা
ঠাকুরগাঁওয়ে বজ্রপাতে মৃত্যু ১, আহত ২ হাঁটু সমান কাদা, পথ নয় যেন শাস্তি, চরম দুর্ভোগে গ্রামবাসী পুবাইলে রাস্তার দাবিতে মানববন্ধন বিএসএফ কর্তৃক সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ১৪ বাংলাদেশিকে পুশইন নাটোরে বিএসটিআইয়ে অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ১৭ বছরের আওয়ামী জুলুম ভুলে গেলে চলবে না : আমিনুল হক সিরাজগঞ্জ চৌহালীর চরে খামারিকে খুন করে গরু ডাকাতির রহস্য উদ্ঘাটন, ৭ আন্তঃজেলা ডাকাত গ্রেফতার চট্টগ্রামে থানার লুণ্ঠিত পিস্তল ও গুলি উদ্ধার, কুখ্যাত ‘ব্লেড মাসুম’ গ্রেফতার ক্রীড়াঙ্গন রাজনীতি মুক্ত হওয়া উচিত: ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল ঠাকুরগাঁও সীমান্তে ৭ জনকে ‘পুশইন’ করেছে বিএসএফ

সুন্দরগঞ্জে দুই শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ-দূর্নীতি অভিযোগ থাকলেও উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ নিরব

রানা ইস্কান্দার রহমান।
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০২২
  • ২৫৪ বার পঠিত

অনিয়ম আর দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম হারুন- উর- রশিদ। শিক্ষকরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন কিছু দুর্নীতিবাজ শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে। ভুক্তভোগী শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন, উৎকোচ ছাড়া কোনো কাজ হয় না এ অফিসে। কোনভাবেই মিলছে না এর প্রতিকার। ধাপে ধাপে বাড়ছে তাদের উৎকোচ চাহিদা।

চলতি বছরের গত ১১ আগস্ট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, ঘুষ দূর্নীতি খবর প্রকাশিত হয় দৈনিক ভোরের সময়, দৈনিক আলোকিত সকাল, দৈনিক আমার বার্তা, সাপ্তাহিক খোলা হাওয়া ও সাপ্তাহিক অগ্রযাত্রাসহ বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হলেও উর্দ্ধতন কর্মকর্তা এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্ৰহন করেনি। দিন দিন বেড়েই চলেছে অনিয়ম, ঘুষ ও দুর্নীতি । শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ-দূর্নীতির অভিযোগ থাকলেও কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার একেএম হারুন-উর- রশিদ ও সহকারি শিক্ষা অফিসার বিপ্লব হাসান মদিনার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতসহ নানা দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন অনিয়ম ও ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের। টাকার বিনিময় তারা জুনিয়র শিক্ষক থেকে সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতি, শ্রান্তি বিনোদন ভাতার টাকা কর্তন, বিদ্যালয় মেরামত ও সংস্কারেরর কাজ সঠিকভাবে না করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা, শিক্ষা কর্কমর্তা ও প্রধান শিক্ষকসহ যোগসাজশে পুরাতন লোহা দিয়ে গ্রিল তৈরি।

প্রধান শিক্ষক ইয়াকুব আলী, নুরেহিনা আক্তার, মাছুমা খাতুন, হাসিনা বেগম, আইয়ুব হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, শিরিনা বেগম, আমজাদ আলী, সহকারি শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুসসহ অনেকেই অভিযোগ করেন। পশ্চিম শিবরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পারের হাট খোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম চন্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খোর্দ্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লাঠশালা পশ্চিম পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব ঘগোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সোনারায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ প্রায় ২০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রত্যয়নপত্র দেয়াসহ বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ১০ হাজার টাকা করে প্রায় ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ।

অফিস সূত্রে জানা গেছে, চতুর্থ ধাপে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) এর আওতায় উপজেলার ৯৪টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেরামত বাবদ ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ১কোটি ৮৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সেই মেরামতের বরাদ্দকৃত টাকার সম্পন্ন কাজ না করে আংশিক কিছু কাজ দেখিয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা বিভিন্ন ক্লাস্টারের সহকারি কর্মকর্তারা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের কাছে ১০ হাজার হতে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিচ্ছে। কাজের মেয়াদ জুন/২০২২ খ্রিঃ তারিখের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কাজ শেষ করে বিল ভাউচার জমা দিলেও তাদের টাকা ছাড়া বিলের চেন দিচ্ছে না উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার একেএম হারুন- উর-রশিদ। বিধি মোতাবেক বিদ্যালয়গুলোতে উন্নয়নমূলক কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদেরকে বিল চেক দেয়ার কথা।

এদিকে শিক্ষকরা জানান, মেরামতসহ বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজ শেষ করে বিল তুলতে গেলে কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে মর্মে প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করতে হয় এবং কাজের মান যাচাই বাছাই না করে টাকা বিনিময় প্রত্যয়পত্র দিচ্ছে উক্ত অফিসের কর্মকর্তারাই। আর এই প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করতে অফিসকে ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পযর্ন্ত ঘুষ দিতে হচ্ছে। আর অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার একেএম হারুন-উর-রশিদ উপজেলায় যোগদানের পর থেকেই শিক্ষা অফিসকে দুর্নীতি-অনিয়ম-ঘুষ বাণিজ্যের আখড়ায় পরিণত করেছেন।

এ বিষয়ে সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিপ্লব হাসান মদিনার কাছে মুঠোফোন যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আপনি কল রেকর্ড চালু করে আমার সঙ্গে ফাজলামো চোদান। আপনি বেদবি করেছেন বলে ফোনটা কেটে দেন।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার একেএম হারুন -উর-রশিদ জানান, মেরামত বা সংস্কারের কাজ শতভাগ বাস্তবায়ন করছি এবং নিবির পর্যবেক্ষণে কাজগুলো সম্পন্ন করি। তিনি আরও জানান, প্রকল্পের কাজের কোন শিক্ষকের কাছে থেকে আমি টাকা নেয়া হয়নি।

এবিষয়ে ডিপি ও মোঃ হোসেন আলী জানান, সরজমিনে পর্যবেক্ষণ করে বিষয়টি সত্য প্রমাণিত হলে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ দৈনিক মাতৃজগত    
Developed By Bangla Webs
banglawebs999991