নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-বগুড়ায় স্কুল ছাত্র রবিউল ইসলাম (১৭) হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।
শনিবার (৫ নভেম্বর) দুপুর ০২.৩০ ঘটিকার দিকে শহরের গোদাড়পাড়া বাজারে নওগাঁ-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়কে এ অবরোধ শুরু হয়।
এসময় রবিউলকে হত্যার অভিযোগে পারভেজ নামে এক যুবকের ফাঁসির দাবিতে এলাকাবাসীদের শ্লোগান দিতে দেখা যায়৷
অবরোধ চলাকালে আঞ্চলিক এই মহাসড়কের দু’পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে যানযটের সৃষ্টি হয়৷ এই সময় প্রায় দেড় ঘণ্টা যানচলাচল বন্ধ থাকে। পরে থানা পুলিশের সদস্যরা সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত জড়িতদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে এলাকাবাসী বিকেল ০৪.০০ঘটিকার দিকে অবরোধ তুলে নেয়।
নিহত রবিউল উত্তর গোদারপাড়া এলাকার নওশাদ আলীর ছেলে ও টেকনিকাল ট্রেনিং সেন্টার বগুড়া নবম শ্রেণীর ছাত্র।
এর আগে গত শুক্রবার (৪ নভেম্বর) রাত ০৯.০০ঘটিকার দিকে শহরের উত্তর গোদারপাড়া এলাকায় দুর্বৃত্তরা রবিউলকে ছুরিকাঘাত করে। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেক (শজিমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসা মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় নিহত রবিউলের বাবা নওশাদী আলী বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় স্থানীয় যুবক পারভেজসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে মামলা করেছেন।
মামলায় অজ্ঞাত আরো ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
রবিউলের বন্ধু সাকিব জানান, গত শুক্রবার (৪ নভেম্বর) রাতে আমি ও রবিউল খাওয়া দাওয়া শেষে বাড়ি ফিরছিলাম। এসময় ভুলবশত পারভেজের সাথে রবিউলের ধাক্কা লাগে। এজন্য হুট করে পারভেজ চাকু নিয়ে রবিউলকে আঘাত করতে শুরু করে। আমাকে মারতে আসলে আমি দৌড়ে আত্মরক্ষা করি।
স্থানীয়রা জানান, পারভেজ এলাকায় আগে থেকেই বখাটে হিসেবে পরিচিত। এরআগেও সে নানারকম অপকর্ম ঘটিয়েছে। প্রতিবারই সে প্রভাবশালী কোন মহল বা কোন না কোন মাধ্যমে রক্ষা পেয়েছে।
রবিউলের বাবা নওশাদ আলী জানান, আমার ছেলে কখনও কারও সাথে ঝগড়া বিবাদে জড়ায়নি, তাকে কারণ ছাড়া খুন করা হলো। আমি জড়িতদের বিচার চাই। আর যেনো কোন বাবার বুক খালি না হয়।
বগুড়া শহরের উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) সুজন মিঞার সাথে গণমাধ্যম কর্মীরা কথা বললে তিনি জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। ময়নাতদন্ত শেষে রবিউলের লাশ নিয়ে গিয়ে স্বজন ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ করেছে।
এসময় আমরা তাদের আশ্বাস্ত করলে তারা অবরোধ তুলে নেয়।