ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গুলফামুল ইসলাম শনিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে থানা চত্বরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করেন। এতে স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। প্রেসব্রিফিংয়ে ওসি তার লিখিত ও মৌখিক বক্তব্যে দেন। বক্তব্যে তিনি গত শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১টায় সীমান্তবর্তী কোচল গ্রাম থেকে ৮ জন স্বর্ণ প্রতারককে গ্রেফতার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেন। ওসি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই প্রতারকদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ১. রুমা আক্তার (৩৫), স্বামী- মো: তসলিম, গ্রাম- শাহার, পীরগঞ্জ। ২. বর্ণা আক্তার (২৫)৷ স্বামী-মোস্তফা, গ্রাম- কোচল, রাণীশংকৈল। ৩. আমেনা বেওয়া (৭০) স্বামী- ফজর আলী, গ্রাম – কোচল,রাণীশংকৈল। ৪. রূপালি ( ২৭) স্বামী- রুবেল গ্রাম-কোচল, রাণীশংকৈল। ৫. পারুল আক্তার (১৯) পিতা- মো: বাবুল গ্রাম- কোচল,রাণীশংকৈল। ৬. মো: বিপ্লব (২২) পিতা- শহিদুল গ্রাম- কোচল, রাণীশংকৈল। ৭. সুমন (২৫) পিতা আব্দুস সালাম, গ্রাম- কোচল, রাণীশংকৈল ৮. মারুফা পিতা মৃত- আব্দল খালেক গ্রাম- কোচল।
এটি একটি সংঘবদ্ধ চক্র যাতে আরো সদস্য থাকতে পারে। এরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় লোকজন ভুলিয়ে ভালিয়ে ভুয়া সোনার মূর্তি ও অন্য দ্রব্যাদি বিক্রি করে প্রতারণা করে আসছিল। ওসি (তদন্ত) মহসিন ও সঙ্গীয় ফোর্স তাদেরকে বাড়ি থেকে উল্লিখিত সময়ে গ্রেফতার করে। তাদের নামে থানায় ২টি পৃথক প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদেরকে আজ (৮ এপ্রিল) ঠাকুরগাঁও জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।