সিলেট বিভাগীয় ব্যুরো প্রধানঃ-
১২ বছরের সংসার হঠাৎ করেই যেনো নেমে এলে কালো অন্ধকার।১২ বছরে – জাহেদা আক্তার শান্তা যেমনটা সাংবাদিকদের জানান , সংসার জীবনে তাদের এক পুত্র সন্তান রয়েছে।ছেলের বর্তমান বয়স আট বছর।
গত তিন মাস ধরে স্বামী নজরুল ইসলাম বাবুলের সাথে তার পারিবারিক কলাহো সৃষ্টি হয়। যার ফলে স্বামী নজরুল ইসলাম বাবুল তার পুত্র সন্তানকে নিয়ে লন্ডনে পাড়ি জমান। শুধু তাই নয় স্ত্রীকে সারাণ দোষ দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হুমকী হুমকী দিয়ে আসছেন বলে জানান জাহেদা আক্তার শান্তা।
স্ত্রী জাহেদা আক্তার শান্তা তার সন্তানকে ফিরে পাবার আশায় সিলেট কোতোয়ালী থানায় যান, কিন্তু থানার কর্মরত ওসি তার কোনো কথা না শুনে তাকে অপরাধী বলে তাড়িয়ে দেন।
আজ ২৮ জুন ২০২২ সকাল দশ ঘটিকায় ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক প্রেস বিফিং করে জাহেদা আক্তার শান্তা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানান , তার পূর্বের স্বামীর দুই সন্তান ছিলো ঐ দুই সন্তান কে গ্রহণ করে শান্তাকে বিবাহ করে নজরুল ইসলাম বাবুল এবং তিনি আরো জানান বিবাহের আগে জাহেদা আক্তার শান্তাকে বলেছিলেন তার স্বামীর প্রথম স্ত্রী মৃত্যু হয়েছে।
এবং শান্তার প্রথম ঘরের বড় মেয়ের জামাইকে ও মিথ্যা মামলা দিয়ে নজরুল ইসলাম বাবুল তারে জেলে পাঠান। টাকার জোর দেখিয়ে স্বামী নজরুল ইসলাম বাবুল এমন অপকর্ম করে আসছে বর্তমানে স্ত্রী সাহেদা আক্তার শান্তা তার আট বছরের ছেলেকে ফিরে পাবার আশায় ভিবিন্ন পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
এবং বাড়িতে কাজ করা কর্মচারী রানা রাজ কে দিয়ে তার স্বামী স্বামী নজরুল ইসলাম বাবুল তার স্ত্রী জাহেদা আক্তার শান্তার নামে সিলেট কোতোয়ালি থানার একটি অভিযোগ দায়ের করার ,যার তদন্ত দেওয়া হয়েছে এসআই অঞ্জন কে। অভিযোগটি চলমান।
আমার স্বামী নজরুল ইসলাম বাবুল আমাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছে এবং তার আত্মীয়স্বজন ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্বারা হয়রানি করে আসছে,কথাগুলো বলেছেন জাহেদা আক্তার শান্তা।
জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলায় মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে জাহেদা আক্তার শান্তা এসব কথা বলেন
সংবাদ সম্মেলনে জাহেদা আক্তার শান্তা বলেন তার স্বামী নজরুল ইসলাম বাবুল লন্ডনে থাকেন । তাদের সাংসারিক বয়স ১২ বছর । তার ছেলের বয়স ৮ বছর। তার ছেলের বয়স যখন ছয় বছর ছিল তখন তার ছেলে মোহাম্মদ আলী তার বাবার সাথে লন্ডনে গিয়েছিল এবং কিছুদিন পর ফিরে এসেছিল।
কিন্তু বিগত মে মাসের ৮ তারিখে তার সন্তান মোহাম্মদ আলীকে তার বাবা নজরুল ইসলাম বাবুল আবার লন্ডন নিয়ে যায় । লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত তার ছেলের সাথে সে কোনদিন কথা বলতে পারেনি ।
জাহেদা আক্তার শান্তা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন আমার ছেলে মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে আমার স্বামীর নজরুল ইসলাম বাবুল আমাকে বিভিন্ন গালিগালাজ করে এবং মেরে ফেলার হুমকি দেয় । গত তিন মাস ধরে আমার স্বামী আমার সাংসারিক কোন খরচ দেয় না।
নিরুপায় হয়ে আমি আমার মেয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেই । কিন্তু গত কয়েকদিন আগে হঠাৎ করে আমার মেয়ে মোছাঃ হুমাইরা ইসলাম ইকরা এর স্বামী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানকে মোগলাবাজার থানা পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায় ।পরে থানায় যোগাযোগ করলে আমরা জানতে পারি যে , তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে । সেই থেকে তিনি এখনো জেলখানায় আছেন । এ অবস্থায় আমরা মা-মেয়ে অসহায় হয়ে পড়েছি।
এদিকে জাহেদা আক্তার শান্তা তার স্বামীর কাছে সাংসারিক খরচ চাইলে ও তার ছেলে মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে, তার স্বামী নজরুল ইসলাম বাবুল তাকে গালিগালাজ করে ও বিভিন্নভাবে হুমকি দেয় ।
তিনি বলেন তার স্বামী নজরুল ইসলাম বাবুল তার আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবের প্ররোচনায় পড়ে, তার বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী দ্বারা হুমকি দিয়ে আসছে ও হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেছেন জাহেদা আক্তার শান্তা।
এমতাবস্থায় জাহেদা আক্তার শান্তা তার আট বছরের ছোট সন্তান মোহাম্মদ আলীকে সহ তার সুখের সংসার ফিরে পাবার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মাননীয় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী, ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।