মিনহাজুল হক বাপ্পী, লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা নতুন কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে শনিবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলা আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশসহ অন্তত ২২ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ১২ বছর পর গত ৮ অক্টোবর আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাবেক মন্ত্রী শাহাজান খান ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাখওয়াত হোসেন শফিক উপস্থিত ছিলেন।
কিন্তু দুই দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে কমিটির বাস্তবায়ন থমকে যায়। এরপর গত ১৯ নভেম্বর আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট যার সভাপতি ছিলেন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও সাবেক সেক্রেটারি রফিকুল আলমকে সম্পাদক করে সেই কমিটিতে বাদ পরে যায় তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল হক গ্রুপের নেতা কর্মীরা তারাই দলের হাইব্রিড নেতা কর্মীদের নিয়ে কমিটি বাতিলের জন্য দলীয় প্রতিবাদ মিছিলসহ লাগাতার কর্মসূচি পালন করছেন! উপজেলা বিএনপি,সাবেক সভাপতি এখন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও সেক্রেটারি রফিকুল আলমের নেতৃত্বে শনিবার নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
কিছু নেতাকর্মীকে প্রকাশ্যে অস্ত্র বহন করতে দেখে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ এড়াতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। একই সঙ্গে হাইব্রিড নেতা-কর্মী কমিটি বাতিলের দাবিতে আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশও করেছে তৃণমূল ক্ষমতাচ্যুত দলটি। মুহুর্তের মধ্যে আদিতমারী বাজার ও লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কের সব দোকানপাট স্থবির হয়ে পড়ে। পুলিশ ঘটনা স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করতে পুলিশ লাঠিচার্জসহ তিনটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। লাঠিচার্জ ও গ্রেনেডের শব্দে উভয়পক্ষের নেতা-কর্মীরা দিশেহারা হয়ে পালাতে থাকে। উভয় পক্ষের সংঘর্ষে প্রায় ১৬ নেতা-কর্মী আহত হন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই ৫/৬ পুলিশ আহত হয় বলে জানা গেছে। আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মোক্তারুল ইসলাম জানান, দুই গ্রুপের শ্লোগান ও অভ্যন্তরীণ গোলযোগই সংঘর্ষের মূল কারণ। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেন তিনি ।