শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ০৫:১৩ অপরাহ্ন
ঘোষনা
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ সোনারগাঁ থানা শাখার নতুন কমেটি গঠন ক্ষতিগ্রস্তদের রিকশা ও নগদ অর্থ প্রদান অনুষ্ঠান: বিএনপি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চায় – আমিনুল হক সাংবাদিক রবিউল ইসলামের ওপর হামলাকারী মামুন বাহিনীকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন পটুয়াখালীতে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে চোরের হুমকি পাঁচ দিন পর এসে তোদের দেখে নেব    রাজশাহী দুর্গাপুরে জমিজমার বিরোধের সংঘর্ষে নিহত -১ আহত-৯ নীলফামারীতে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় যুবকের ১৩ বছরের কারাদণ্ড নওগাঁ ডিসি গোল্ডকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা ৩০ বছর পর শুরু হতে যাচ্ছে নীলফামারীতে ২৫০শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) শিবগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে আর্থিকচেক প্রদান

৩’রা নভেম্বর জেলহত্যা দিবসে, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, জাতীয় চার নেতার প্রতি, গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছেন, খান সেলিম রহমান।

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২ নভেম্বর, ২০২২
  • ২১৭ বার পঠিত

শেখ মোঃ হুমায়ুন কবির, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী দেশি-বিদেশি চক্র বর্বরোচিতভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। এর কিছুদিন পরই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ইতিহাসের আরেকটি বর্বর হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়। বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করতে হত্যা করা হয়। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি, মহান স্বাধীনতা স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, জাতীয় চার নেতাকে।

 

আজ ৩’রা নভেম্বর জেলহত্যা দিবসে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, জাতীয় চার নেতা’র প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছেন।

 

জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকার সম্পাদক, মাতৃজগত টিভির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ ক্রাইম সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক, ঢাকা মিরপুর প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ক্রাইম সাংবাদিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, খান সেলিম রহমান।

 

গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি, জানিয়ে খান সেলিম রহমান বলেন। স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্র ১৯৭৫ সালের ৩’রা নভেম্বর জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আজীবন রাজনৈতিক সহকর্মী, তাঁর অবর্তমানে যারা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেন সেই জাতীয় চার নেতা।

১/সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ২/তাজউদ্দীন আহমেদ, ৩/ক্যাপ্টেন মুনসুর আলী ৪/ এ এইচ এম কামারুজ্জামান’কে জেলখানার ভেতরে গুলি করে ও বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শত্রুরা এ দেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি। পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে স্বাধীনতাবিরোধী দেশি-বিদেশি ওই চক্রটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ৭৫ এর ১৫’ই আগস্ট সপরিবারে হত্যা করে। এরপর খুনি মোশতাকের নেতৃত্বে স্বাধীনতাবিরোধী ওই চক্রটি এ দেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশ যাতে ঘুরে দাঁড়িয়ে আর এগোতে না পারে, স্বাধীনতা যাতে ব্যর্থ হয়, বাংলাদেশ যাতে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয় সেই চক্রান্ত করে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র অগ্রসর হয়। এরই অংশ হিসেবে এবং এ দেশে যাতে কোনদিন স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে, সে জন্য রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার, হত্যা, নির্যাতনের ষড়যন্ত্র শুরু করে। সেই ষড়যন্ত্র থেকেই জেলখানার ভেতরে এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করে তাঁরা।

 

মুক্তিযুদ্ধকালে মুজিবনগর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে থেকে জাতীয় চার নেতা ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৭৫ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণার পর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। ওই সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাঁজউদ্দীন আহমদ, অর্থমন্ত্রী ছিলেন ক্যাপ্টেন মুনসুর আলী, খাদ্য ও ত্রাণমন্ত্রী ছিলেন এ এইচ এম কামারুজ্জামান। এই সরকারের নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার মধ্য দিয়ে বিজয় অর্জিত হয়।

শুধু মুক্তিযুদ্ধ নয়, সকল আন্দোলন-সংগ্রামে এই চার নেতা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকেছেন।

 

খান সেলিম রহমান আরো বলেন। বিভিন্ন সময় বঙ্গবন্ধুকে যখন কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে তখন আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়ে এই চার নেতা আন্দলন-সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়েছেন। ঘাতক চক্রের লক্ষ্য ছিল বাঙালিকে নেতৃত্বশূন্য করে বাংলাদেশকে পুনরায় পাকিস্তানের পদানত করে মুক্তিযুদ্ধের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়া। তাই মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানে আটক করে রাখার পর যে চার নেতা বঙ্গবন্ধুর হয়ে যোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনেন, সেই জাতীয় চার নেতাকেও বঙ্গবন্ধুর মতো নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

 

মানবতাবোধের চরম নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতার সাক্ষী হচ্ছে ৩’রা নভেম্বর জেল হত্যা দিবস। দেশের আপামর জনতা যাদের নেতৃত্বে ও নির্দেশে এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে মাত্র নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে দেশকে স্বাধীন করেছিল, যারা মুক্তিযুদ্ধকালে মুজিবনগর সরকারের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করে, এ দেশের জনগণকে একত্রিত করে ও দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে বেগবান করে বিজয়ের পতাকা উঁচিয়ে ধরেছেন, সেই জাতীয় চার নেতাকে চরম নির্মমতার স্বাক্ষর রেখে ৩’রা নভেম্বর কারাগারের ভেতরে রাতের অন্ধকারে হত্যা করা হয়।

 

আজকের এই ৩’রা নভেম্বর জেলহত্যা দিবসে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি, মহান স্বাধীনতা স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, জাতীয় চার নেতা’র প্রতি। মাতৃজগত পরিবারের পক্ষ থেকে জানাই, গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ দৈনিক মাতৃজগত    
Developed By Bangla Webs
banglawebs999991