নীল রতন কুন্ডু নিলয় (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ এম সোহায়েঔল বলেছেন ২০২৩ সাল হবে পায়রা বন্দরের জন্য ইয়্যার অব দ্য পায়রা বন্দর। কেননা এ বছরের মে মাস নাগাদ পায়রাবন্দরে স্থাপিত ফার্স্ট টার্মিনালে পঞ্চাশ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার মাদার ভেসেল সরাসরি টার্মিনালে নোঙর করে পন্য খালাস করতে পারবে। দেশের একমাত্র গভীর সমুদ্র বন্দর হবে এটি। যার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে রাজস্ব আয় হবে হাজার হাজার কোটি টাকা। পাল্টে যাবে দেশের অর্থনীতি। ভাগ্যের চাকা ঘুরবে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের তথা সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের। আজ রবিবার সন্ধ্যায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার মোঃ তৌহিদুর রহমান (সিআইপি) মিলনায়তনে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ এম সোহায়েল এসব কথা বলেন।
কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এসএম মোশারফ হোসেন মিন্টু’র সঞ্চালনায় পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আরও বলেন,’ এখানে অচিরেই গড়ে উঠবে জাহাজ নির্মাণ শিল্প, ৫০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষম সোলার পাওয়ার প্লান্ট সহ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। ২০২২ সালে ১২২টি মাদার ভেসেল সহ প্রায় এক হাজার জাহাজ পন্য খালাস ও পন্য পরিবহনে নিয়োজিত ছিল, যাতে আয় হয়েছে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ড্রেজিং শেষ হলে মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ে পন্য খালাস ও পরিবহনে দক্ষিণ এশিয়ায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে পায়রা বন্দর।’ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন মান্নু, সাবেক সম্পাদক মহসিন পারভেজ, নেছার উদ্দিন আহমেদ টিপু প্রমূখ।এ সময় কলাপাড়া, কুয়াকাটার কর্মরত সকল সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বিকেলে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ এম সোহায়েল বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমানকে সাথে নিয়ে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে এসে পৌছলে চেয়ারম্যান কে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করে প্রেস ক্লাব কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই তাকে সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট প্রদান সহ প্রেসক্লাবের লোগো সম্বলিত কোট পিন ও উত্তরীয় পড়িয়ে দেয়া হয়। এ সময় ফুলেল শুভেচ্ছা সিক্ত হয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেন, ‘পায়রা বন্দর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের বন্দর। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে সমুদ্র সম্পদ ও সমুদ্রকে কাজে লাগিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের যে স্বপ্ন দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী সেটিকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। আপনাদের লেখনীর কারণে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ আজ এ বন্দরে বিনিয়োগে উৎসাহ প্রকাশ করছে। আগামী দিনে পায়রা বন্দর আরও এগিয়ে যাবে আপনাদের সহযোগিতায়।
শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান শেষে স্থানীয় সাংস্কৃতিক কর্মীদের সাথে কোরাস সংগীত পরিবেশনে অংশ নেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ এম সোহায়েল কলাপাড়া পটুয়াখালী।