চট্টগ্রামের ২নং জালালাবাদ বালুছড়া তুফানী রোড রাজামিয়া মসজিদের পিছনে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য সিরাজুল মাওলা তার নিজের বাড়ি করছেন।তার তিনতলা বাড়ির অর্ধেক কাজ হওয়ার সাথে সাথে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা বাড়ির কাজ বন্ধ করে দেয়।এমনকি কাজের মিস্ত্রি সহ সিরাজুল মাওলার ছেলেকেও মারধর করেন।সাত লক্ষ টাকা না দিলে কাজ করা যাবে বলে এমন হুশিয়ারী দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয় তারা।
এই বিষয়ে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য সিরাজুল মাওলা চারজনকে আসামি করে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় অনাধিকার প্রবেশ করে হত্যার উদ্দেশ্য মারধর ও চাঁদাবাজীর মামলা দায়ের করেন।মামলা হয়েছে ৪৪৭,৩২৩,৩০৭,৩৮৫,৫০৬ ধারায়।
মামলার আসামিরা হলেন,শাহিন(৪৫),শাহিনের পুত্র মিনহাজ(২২),সেকান্তরের পুত্র ইদ্রিস(৫৫),মৃত ফকির আহমেদর পুত্র সেকান্তর (৪০)।
মামলায় উল্লেখ করা হয়,২০০৬ সালে জায়গা ক্রয় করে সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন।সেই সেমিপাকা ঘর তিন তলা ভবনের কাজ শুরু করলে শাহিন ও ইদ্রিস নির্মাণ কাজে বাঁধা দেয় এবং বাড়ির চলাচলের সরকারি রাস্তা বন্ধ করে দেয়।কাজের মিস্ত্রিদের মারধর সহ সিরাজুল মাওলার একমাত্র ছেলেকেও মারধর করে পুরো কাজ বন্ধ করে সাত লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
তবে থানায় মামলার পর থেকেই আসামীরা পলাতক রয়েছেন।
এছাড়া মামলার চার নং আসামি সেকান্তরের সাথে ৫৫ হাজার টাকায় চুক্তি হয় এবং সেই টাকা দেওয়ার পরেও মালামাল আনা নেওয়ার সরকারি রাস্তাটি নিজের দাবি করে বন্ধ করে দেন।সাত লক্ষ টাকা চাঁদা না দিয়ে আইনের আশ্রয় নিলে প্রাণনাসের হুমকি দেয় ভুক্তভুগীর পরিবারকে।মৃত্যুর ভয়ে আতঙ্কে দিন যাপন করছেন একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার পরিবার।
হামলা ও চাঁদা দাবির বিষয়ে ভুক্তভুগীর অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিরাজুল মাওলা বলেন জায়গা আমার,বিল্ডিং আমি করি এবং সিডিআইর অনুমোদন আছে তবুও কেন আমাকে চাঁদা দিতে হবে।আমি অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা হিসাবে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
হামলা ও চাঁদা দাবির বিষয়ে ভুক্তভুগীর পরিবার বলেন আমাদের জায়গায় আমরা বাড়ি বানাচ্ছি স্থানীয় সন্ত্রাসীরা কেন চাঁদা দাবি করবে।আমাদের মিস্ত্রিদের মারধর সহ আমার সন্তানকে মারধর করে সাত লক্ষ টাকা চাঁদা চাওয়া,চাঁদা না দিলে মৃত্যুর হুমকি দেওয়া এইসব বিষয় নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটছে আমাদের।আমরা এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
মামলার বিষয়ে বায়েজিদ বোস্তামী থানার এস আই আবদুল্লাহ বলেন,মামলা তদন্তাধীন আছে।
সুশীল সমাজের প্রশ্ন,একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা যদি নিজের জায়গায় বাড়ি নির্মাণে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের চাঁদা দিতে হয় তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থা কেমন।এইসব চাঁদাবাজ,সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।