মোঃ শফিকুর রহমান
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দেশের কয়েকটি রাজনৈতিক দল নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এ দলগুলো নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচনকে বিলম্বিত ও বানচাল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা সরাসরি বাংলাদেশের জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার শামিল। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তুরাগ থানার অন্তর্গত উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টর অফিসার্স ক্লাব সংলগ্ন লেকে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত খাল পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি ও বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আমিনুল হক দৃঢ় কণ্ঠে ঘোষণা করেন, “যারা জনগণের ভোটাধিকার হরণে ষড়যন্ত্র করছে, যারা পূর্ণাঙ্গ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বাঁধা দিচ্ছে, বিএনপি ও দেশের সাধারণ মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করবে। ইনশাআল্লাহ আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে, যে সরকার জনগণের কাছে জবাবদিহি করবে।” তিনি বলেন, গত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। কিন্তু এবার তারা ভোট দিতে চায় এবং বিএনপিসহ দেশের সাধারণ জনগণ আসন্ন নির্বাচনের ডাককে আন্তরিকভাবে সাধুবাদ জানিয়েছে। স্বৈরশাসন থেকে আংশিক মুক্তির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আমিনুল হক বলেন, “আমরা স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন ঘটাতে সক্ষম হয়েছি, কিন্তু এখনও সম্পূর্ণ স্বৈরাচার মুক্ত হতে পারিনি। গণতন্ত্রের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছি, তবে পূর্ণাঙ্গ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা এখনও বাকি।” তিনি আরও বলেন, “বিএনপি গত ১৫ বছর ধরে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে আসছে। এর মূল লক্ষ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা এবং দেশে পূর্ণাঙ্গ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু গত ১৭ বছরের স্বৈরাচারী সরকার জনগণের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে জোর করে ক্ষমতায় বসে থেকেছে, সাজানো নির্বাচন করেছে। দেশের মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।” আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরে তিনি বলেন, বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী এই দীর্ঘ সংগ্রামে গুম, খুন ও হত্যার শিকার হয়েছেন। শুধু তাই নয়, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে অসংখ্য আন্দোলনকারী শহীদ হয়েছেন, অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়েই দেশ আজ শেখ হাসিনার স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত হয়েছে। আমিনুল হক স্পষ্ট করে বলেন, “এই আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না। জনগণের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই আন্দোলনের ফসলই হবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। সেই নির্বাচনের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠিত হবে জনগণের সরকার।” অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব হাজী মোঃ মোস্তফা জামান, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, যুগ্ম আহবায়ক এবিএমএ রাজ্জাক, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, মোঃ আক্তার হোসেন, আতাউর রহমান, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, মুহাম্মদ আফাজ উদ্দিন, হাজী মোঃ ইউসুফ, মোঃ শাহআলম, মাহাবুব আলম মন্টু, মহানগর সদস্য এজিএম শামসুল হক, আলী আকবর আলী, রেজাউর রহমান ফাহিম, হাফিজুল হাসান শুভ্র,শামীম পারভেজ, নাসির উদ্দিন, নুরুল হুদা ভূঁইয়া নূরু, জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, এমএস আহমাদ আলী, ইব্রাহিম খলিল, মাহাবুবুর রহমান, তাসলিমা রিতা, সাবেক সদস্য মোঃ হানিফ মিয়া, যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তর এর আহবায়ক শরীফ উদ্দিন জুয়েল, সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজ, ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা দলের সদস্য সচিব এ্যাড রুনা লায়লা রুনা, জাসাস ঢাকা মহানগর উত্তর আহবায়ক শরিফুল ইসলাম স্বপন সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন আনু, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তর আহবায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ, সদস্যসচিব মহসীন সিদ্দিকী রনী, শ্রমিক দল মহানগর উত্তরের আহবায়ক শাহ আলম রাজা, সদস্য সচিব কামরুল জামান, ছাত্রদল ঢাকা মহানগর উত্তর ও পশ্চিম এর নেতৃবৃন্দ এছাড়াও উত্তরখান থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক সুলতান মাহমুদ বকুল, তেজগাঁও থানা বিএনপির আহবায়ক ইন্জি: মিরাজ উদ্দিন হায়দার আরজু, ক্যান্টনমেন্ট থানা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক মোঃ শফিকুর রহমান রতন, দক্ষিণখান থানা বিএনপি ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক হেলাল তালুকদার, কাফরুল থানা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক সাব্বির দেওয়ান জনি, রামপুরা থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রেজাউল করিম বড় মিয়া, তুরাগ থানা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক হাজী জহিরুল ইসলাম, মোঃ চান মিয়া, খিলক্ষেত থানা বিএনপি আহবায়ক এসএম ফজলুল হক, যুগ্মআহ্বায়ক মোবারক হোসেন দেওয়ান, সিএম আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদপুর থানা বিএনপি আহবায়ক শুক্কুর মাহমুদ, যুগ্ম আহবায়ক মীর কামাল হোসেন, আদাবর থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোঃ হানিফ, শাহীন মোঃ শাহেনশাহ, উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির সিনিয়র নেতা মোঃ আব্দুস ছালাম, মোঃ কামাল পাশা, বিমানবন্দর থানা বিএনপি যুগ্মআহবায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলু, যুগ্ম আহবায়ক মহিউদ্দিন তারেক, যুগ্ম আহবায়ক মন্জুর হোসেন পাটোয়ারী, উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড এফ ইসলাম চন্দন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন মাস্টার, তারেক হাসান, শাহাদাত হোসেন, হারুন অর রশীদ, মোঃপুর থানা বিএনপি ৩৩ নং ওয়ার্ড সিনিয়র সহসভাপতি ওসমান গনি সেন্টু, তুরাগ থানা বিএনপি আহবায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল আলী সহ বিভিন্ন থানা বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।