
ইব্রাহিম খলিল,পাবনা জেলা প্রতিনিধি:পাবনার
আটঘরিয়ায় মুরগির খামার দেয়াকে কেন্দ্র করে ভাংচুর লুটপাট ও সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছে। গুরুত্বর আহতদের মধ্যে ৩ জনকে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ২৭ অক্টোবর সোমবার বেলা আড়াই টার সময় বয়রা উত্তরপাড়া গ্রামে। এঘটনায় হুমায়ুন বাদী হয়ে আটঘরিয়া থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।
হাসপাতাল ও আহতদের পরিবার সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার চাঁদভা ইউনিয়নের বয়রা উত্তরপাড়া গ্রামের আব্দুল সালাম হোসেনের ছেলে আসলাম হোসেন নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় শ্রমিক নিয়ে টিনসেডের একটি মুরগির খামার করেছিলো। কিন্তু তা ভেঙে দিয়ে বড় পরিসরে খামারের কাজ শুরু করে।
এসময় একই গ্রামের ইকবাল হোসেন, খাইরুল, সুমন, বিদ্যুৎ, জহুরুল, রিপন, শরিফ, আব্দুল গং মুরগির খামার দিতে বাঁধা সৃষ্টি করে।
এসময় আসলাম তাদের বাঁধা নিষেধ উপেক্ষা করে শ্রমিক নিয়ে মুরগির খামারের কাজ করতে থাকলে উভয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও ধস্তা ধস্তির একপর্যায়ে সংর্ঘষ বেঁধে যায়।
ইকবাল গংদের হাতে থাকা লাঠি শোঠা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আসলাম হোসেন, ও হুমায়ুন হোসেনকে ব্যাপক মারপিট করে এবং সংঘর্ষে উভয়ের মধ্যে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে আসলাম, হুমায়ুন ও মোমিনকে গুরুতর জখম অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এবং বাকীদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এঘটনায় খামারী আসলাম হোসেন জানান, প্রায় দেড় যুগ ধরে আমার বাড়ীর আঙ্গিনায় টিনসেড দিয়ে মুরগির খামার করে মুরগী পালন করে আসছি।
এসময় প্রতিবেশী ইকবাল গংরা আমার খামার বন্ধ করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। তবে প্রশাসনের কাছ থেকে আমার মুরগির খামার বন্ধের কোন নোটিশ পাইনাই। এবং আমার নিজ জায়গায় আমি মুরগির খামার দিচ্ছি।
এসময় ইকবাল গং দলবল নিয়ে এসে আমার খামারে অর্তকিত হামলা চালিয়ে আমাকে ও হুমায়ুনকে ব্যাপক মারপিট, বাড়িঘর ভাংচুর,লুটপাট করে। পরে স্থানীয় লোকজন আমাদেরকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
তিনি আরও বলেন, আমার ঘরের থাকা মুরগী বিক্রয়কৃত নগদ ২ লাখ ১৭ হাজার ৭৫০ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এবিষয়ে খামারের আশ পাশের প্রতিবেশী ইকবাল হোসেন, খাইরুল, সুমন,বিদ্যুৎ,জহুরুল গংরা জানান, আসলামের বাড়ির আঙ্গিনায় ছোট পরিসরে একটি মুরগির খামার ছিল। তবে সেই খামার ভেঙে দিয়ে বড় পরিসরে আবার মুরগির খামার তৈরী শুরু করেছে।
তাই আমাদের বসতবাড়ীর সাথে মুরগির খামার হওয়ায় বন্ধের জন্য গ্রামবাসি উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরে একটি লিখিত আবেদন দিয়েছি।
তবে মুরগির বিষ্টার দূর্গন্ধে পরিবেশ দৃষিত হচ্ছে। এবং জীবন যাপন খুব কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে।
আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শফিকুজ্জামান সরকার জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইব্রাহিম খলিল
পাবনা জেলা প্রতিনিধি
০১৭৭৩-১৪৬৮৪৮
২৯-১০-২৫