মানজারুল ইসলাম মিলন বিশেষ প্রতিনিধিঃ আত্নহত্যা নয় হত্যা করা হয়েছে গৃহবধূ নুসরাত কে। ঘটনা সূত্র পাতেয় জানা যায় গত ১লা ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা ইউনিয়নের মনির উদ্দিন সরদার কান্দির মোঃ রাসেল ছৈয়ালের স্ত্রী নুসরাত জাহান (১৫) গলায় ফাঁসি দিয়েছিলো আত্নহত্যা করার জন্য।তখন নুসরাতের শ্বশুর বাড়ির লোকজন টের পেয়ে দরজা ভেঙে তাকে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যায় কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক নুসরাত কে মৃত ঘোষণা করে। তারপর নুসরাতের শরীরের বিভিন্ন নমুনা দেখে পুলিশ এবং এলাকাবাসী হত্যা করা হতে পারে বলে সন্দেহ পোষণ করলে নুসরাতের লাশ হাসপাতালে রেখে নুসরাতের শ্বশুর এবং চাচা শ্বশুর পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী তাঁদের আটক করে জাজিরা থানায় সোপর্দ করে।
এবং নুসরাতের বাবা দুলাল মাদবর বাদী হয়ে জাজিরা থানায় একটি আত্নহত্যা প্ররোচনার মামলা করে নুসরাতের শ্বশুর বাড়ি ৫ জন কে আসামি করে।তার আগেই নুসরাতের স্বামী, দেবর ও শ্বাশুড়ি বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়
তাঁদের পালিয়ে যাওয়ার কারনে নুসরাত কে হত্যা করা হয়েছে বলে নুসরাতের পরিবার ধারনা করে এবং নুসরাতের লাশ পোস্টমর্টেম করানোর জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পেরণ করে জাজিরা থানা পুলিশ। কিন্তু পোস্টমর্টেম রিপোর্টে আত্নহত্যার কোন আলামত পাওয়া যায় নি বলে জানিয়েছেন ওই মামলার তদন্ত কারী পুলিশ অফিসার এসআই হাবিবুর রহমান, তারপর নুসরাতের মৃত্যুর কারন নিশ্চিত হওয়ার জন্য ফরেনসিয়াল টেস্টে পাঠানো হয়েছে নমুনা।
গতকাল নুসরাতের পরিবারের লোকজন দাবি করে নুসরাতের হত্যার ঘটনার একজন প্রতক্ষ্য সাক্ষী তারা পেয়েছেন যে নুসরাত কে হত্যা করতে নিজের চোখে দেখেছেন এবং সে সাক্ষী দিতেও প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন। নুসরাতের পরিবারের লোকজন জানান নুসরাত কে হত্যার পরে তারা তাকে গলায় ওরনা পেঁচিয়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে ভিতর দিয়ে দরজা বন্ধ করে সকল জানালা বন্ধ করে একটি জানালার গ্রিল ভেঙে বাহিরে এসে আবার ওই জানালা পুনরায় নির্মান করে তার প্রমান ও আছে তাঁদের কাছে।এখন নুসরাতের পরিবার জানিয়েছেন রিপোর্ট যা-ই আসুক না কেন নুসরাত কে হত্যা করা হয়েছে সেটা তারা নিশ্চিত দরকার হলে নুসরাতের পরিবার আদালতে হত্যা মামলা করে পুনরায় পোস্টমর্টেম করাবে এবং প্রতক্ষ্য সাক্ষী আদালতে হাজির করাবে। নুসরাতের মামা কাওসার জানান এই হত্যা কান্ডের সাথে নুসরাতের চাচি শ্বাশুড়ি সাহিদা বেগম ও চাচা শ্বশুর আয়নাল ছৈয়াল সহ ৭/৮ জন জড়িত রয়েছেন এবং আত্নহত্যার নাটক সাজানোর জন্য সাহিদা বেগম ই মুল ভুমিকা পালন করেন।
এখন নুসরাতের পরিবারের একটাই দাবি যেন তারা সঠিক বিচার টা পান এবং আর কোন মা বাবা যেন তার সন্তান না হারান। নুসরাতের নিকট আত্নীয় মানজারুল ইসলাম মিলন জানান পুলিশ প্রশাসন পোস্টমর্টেম রিপোর্টের অজুহাত দিয়ে বিষয় টি ঢিলেঢালা ভাবে তিন মাস পার করে দিলো এখনো বাকী আসামীদের ধরতে কোন রকম তোর জোর দেখছে না, পুলিশের ভুমিকায় নুসরাতের পরিবার অসন্তোষ প্রকাশ করে সর্ব শেষ জানান দরকার হলে তারা আদালতে দরখাস্ত করবেন।