
খন্দকার জলিল, জেলা ব্যুরো প্রধান, পটুয়াখালী
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও দলের সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলার রায়কে ঘিরে উত্তেজনা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ১৩ নভেম্বর দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশব্যাপী লগডাউন ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে বেশ কিছু এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং নাশকতার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র।
এ পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য সহিংসতা মোকাবিলা ও নাশকতা প্রতিরোধে পটুয়াখালীর গলাচিপায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে গলাচিপা থানা পুলিশের নেতৃত্বে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক, বাজার, গাড়ীস্ট্যান্ড, সরকারি অফিসের আশপাশসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে বাড়ানো হয়েছে টহল ও চেকপোস্ট কার্যক্রম।
গলাচিপা থানা পুলিশ জানিয়েছে, নাশকতাকারীরা যাতে এসব পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাতে না পারে, সেজন্য সব ধরনের জ্বালানি ব্যবসায়ীদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। খোলা বোতলে ডিজেল-পেট্রল শতর্কভাবে বিক্রি করা, দোকানের সামনে বোতল না রাখা এবং যানবাহন ছাড়া কাউকে জ্বালানি সরবরাহ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গলাচিপা থানার কর্মকর্তারা জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সন্দেহজনক ব্যক্তিদের তল্লাশি, মোটরসাইকেল চেকিং ও রাতের অপ্রয়োজনীয় চলাচলের ওপরও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। সাধারণ জনগণকে সচেতন থাকতে এবং কোনো ধরনের গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
এদিকে স্থানীয় শান্তিপ্রিয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, হঠাৎ করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সহিংস ঘটনাবলি দেখে এলাকাবাসীর মধ্যে কিছুটা উদ্বেগ তৈরি হলেও পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে গলাচিপার সার্বিক পরিস্থিতি এখনো শান্ত রয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানিয়েছে, প্রয়োজন হলে অতিরিক্ত ফোর্স গলাচিপায় মোতায়েন করা হবে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।