কে এম নাছির উদ্দিন সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার:
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আবারও উঠে এল রোমহর্ষক এক নারীনির্যাতনের করুণ পরিণতি। নিজ শয়নকক্ষ থেকে উদ্ধার হয়েছে হাবিবুল্লাহ নগর ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য পেয়ারা বেগমের (৪২) লাশ। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সকালেই রতনকান্দি উত্তরপাড়া গ্রাম কেঁপে ওঠে ঘটনাটির খবর শুনে।
পেয়ারা বেগমের স্বামী উপজেলা যুবদল নেতা আব্দুল আলীম, তার প্রথম স্ত্রীসহ পুরো পরিবার ঘটনার পর থেকেই রহস্যময়ভাবে উধাও। পুলিশ ধারণা করছে—এটি পরিকল্পিত শ্বাসরোধে হত্যাকাণ্ড।
স্থানীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে—দুই বছর আগে প্রথম স্বামীকে রেখে আলীমকে বিয়ে করেন পেয়ারা। কিন্তু আলীমের প্রথম স্ত্রী ও সন্তানরা একই বাড়িতে বসবাস করতেন। দিন দিন বাড়ছিল দ্বন্দ্ব, নির্যাতন আর টানাপোড়েন।
অভিযোগ আরও চমকপ্রদ—
বিয়ের সময় আলীম নাকি তা নিহতের স্বজনদের দাবি—বিয়ের পর থেকেই নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হতেন পেয়ারা বেগম। তার কাছ থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন আলীম। এরপর থেকেই দাম্পত্য কলহ তীব্র হয়।
তাদের দাবি—বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আলীম, তার প্রথম স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যরা মিলে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এর আগে আলিম প্রথম স্ত্রীকে বিষ খাইয়ে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন!
শাহজাদপুর থানার ওসি মো. আসলাম আলী জানান—
“প্রাথমিকভাবে শ্বাসরোধে হত্যার আলামত মিলেছে। ময়নাতদন্তের পর বিষয়টি নিশ্চিত হবে। হত্যাকাণ্ডের পর পুরো পরিবার পলাতক।”
থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।