
এস কে ইয়াসিন বিশেষ প্রতিনিধি: বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী আড্ডাবাজ ও মানবিক ছেলে-মেয়েগুলো দলেদলে এই বাহিনীতে যোগ দিচ্ছেন। সুতরাং পুলিশে গুণগত পরিবর্তন এখন সাদাচোখেও দৃশ্যমান, যদিও যথেষ্ট ব্যতিক্রম রয়েছে এবং ব্যতিক্রম সবসময় উদাহরণও নয়।সময়ের পরিক্রমায় সেই পুলিশ আস্তে আস্তে হলেও যথেষ্ট জনবান্ধন পুলিশে পরিণত হয়েছে। জনসেবায় পুলিশের মনোজগতেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। পুলিশ যে জনগণের বন্ধু,আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করার পাশাপাশি তারাও যে মানবিক কাজের ক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই, অনেকে তা স্বীকারে নারাজ। দু-একজনের অপকর্মে পুরো পুলিশ বাহিনীকে সমালোচনায় বিদ্ধ করতে কুণ্ঠাবোধ করে না। তবে পুলিশ বিভাগে রয়েছে হাজারো মাহাবুবুর রহমান কাজল মতো মানবিক পুলিশ অফিসার। মানবিক পুলিশ কর্মকর্তা ওসি মাহাবুবুর রহমান কাজল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকেই মানুষের দু:খ-কষ্ট দেখলে আমার সহ্য হতোনা। এগিয়ে গিয়ে সাহায্য করতে ইচ্ছে করে। তাছাড়া পুলিশের চাকরিটাও মানুষকে সহযোগিতা করাই একটি চাকরি বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন মানুষের বিপদের সময় যে পাশে থাকে সে-ই প্রকৃত বন্ধু। আমি কোনো জনপ্রতিনিধি বা মহৎ ব্যক্তি হতে চাই না। আমি চাই মানুষের দুঃসময়ের বন্ধু হতে। তাই নিজের সাধ্য অনুযায়ী সব সময় চেষ্টা করি সমাজের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে। সরকারী সহায়তার পাশাপাশি নিজ ব্যক্তি উদ্দ্যোগে থানাধীন এলাকার অসহায় হতদরিদ্র কর্মহীন নিম্ম আয়ের মানুষ গুলো’কে আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। ওসি মাহাবুবুর রহমান কাজল ঝিনাইদহ জেলা মহেশপুর থানায় যোগদানের পর থেকে থানার চেহারায় পাল্টিয়ে দিয়েছেন। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রনে থানার আঁশে পাশের নোংরা পরিবেশ পরিস্কার পরিছন্ন করে সেবা প্রার্থীদের থানা একটি সুন্দর মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করে দিয়েছেন যাতে করে সেবা প্রার্থীরা হয়রানির শিকার না হোন থানায় এসে সুন্দর একটি পরিবেশ পান। তিনি তার সততা ও বিচক্ষণ বুদ্ধিমত্তা এবং মেধার বিকাশে তার দায়িত্বরত এলাকা মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, মামলা হ্রাস, চোর-ডাকাতের উৎপাত ও দখল বাজদের হাত থেকে মুক্ত করেছেন। তার চোখে ধনী-গরিব, জেলে, রিক্সা চালক হতে সব শ্রেণিপেশার মানুষ সমান। তিনি একজন সৎ ও অন্যায়ের কাছে আপোষহীন পুলিশ অফিসার। ঝিনাইদহ জেলা মহেশপুর থানায় ওসি মাহাবুবুর রহমান কাজল এক আস্থার প্রতীক।