ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের গলফ মাঠ এলাকার ঝাউবাগান থেকে তরুণ সাংবাদিক ও সামাজিক কর্মী মোহাম্মদ নুরুল আমিনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সৈকতের লাইফগার্ড কর্মীরা মরদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। নিহত নুরুল আমিন উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী গ্রামের মৃত জুনু মিয়ার ছেলে। তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিও কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দৈনিক প্রাণের বাংলাদেশ পত্রিকার উখিয়া প্রতিনিধি ছিলেন। গত এক মাসে তিনজন সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধারের পর চলতি মাসের শুরুতেই আরেকজন তরুণ সংবাদকর্মীর মৃত্যু সংবাদ গোটা সাংবাদিক সমাজকে গভীর শোক ও উদ্বেগে ফেলেছে। মাত্র এক সপ্তাহ আগে নুরুল আমিন ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তায় পুলিশি হয়রানির কথা প্রকাশ করেছিলেন। এর অল্প কিছুদিন পরেই তার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে—এ মৃত্যু আসলেই আত্মহত্যা, নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে এলাকার কিছু দুর্বৃত্ত ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত সংবাদ প্রকাশ করছিলেন। বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (B.C.P.C)-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খান সেলিম রহমান গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন–“সাংবাদিক নুরুল আমিনের মৃত্যুর ঘটনায় আমরা মর্মাহত। একজন তরুণ সংবাদকর্মীর অকাল মৃত্যু শুধু সাংবাদিক সমাজের জন্য নয়, গোটা জাতির জন্যই এক গভীর ক্ষতি। আমরা রাষ্ট্র ও প্রশাসনের কাছে অবিলম্বে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।” বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (B.C.P.C)-এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহিদুল হাসান সরকার শোক প্রকাশ করে বলেন—“নুরুল আমিন মৃত্যুর আগে নিজেই স্পষ্ট করে গিয়েছিলেন, কারা তার জীবনের জন্য হুমকি। তাই এই মৃত্যু নিছক আত্মহত্যা নয়, এর পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না তা উদঘাটন করা অত্যন্ত জরুরি। আমরা রাষ্ট্র ও প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাই—দ্রুত এই রহস্য উন্মোচন করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।” বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (B.C.P.C)-এর পক্ষ থেকে রাষ্ট্র ও প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি— ১. সাংবাদিক নুরুল আমিনের মৃত্যুর রহস্য দ্রুত উন্মোচন করা হোক। ২. এ ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হোক। ৩. ভবিষ্যতে যেন আর কোনো সংবাদকর্মীকে প্রাণ দিতে না হয়, সে জন্য অবিলম্বে সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হোক। প্রিয় সাংবাদিক সহকর্মী ভাই–বোন বন্ধুগণ– আপনারা কলম চালিয়ে জান কলম থামাবেন না। সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রতিবাদ জানান। যদি ভয় পান, তবে মুখ লুকিয়ে থাকুন—কিন্তু মনে রাখবেন, মুখ লুকিয়ে থাকার মধ্যে কখনো মুক্তি নেই।