নাজিম আল হাসান রাঙ্গামাটি
রাঙ্গামাটি কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের চেলাছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রাঙামাটি রিজিয়ন ও সদর জোনের উদ্যোগে সম্প্রীতি ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
রবিবার (০৭ ডিসেম্বর ২০২৫) সকাল ১০টা থেকে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রায় শতাধিক শীতার্ত দুস্থ পরিবার ও দুইটি স্কুল এবং একটি আবাসিক হোস্টেলের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে কম্বল, ফুটবল, ক্রিকেট ব্যাট-বল, ক্যারাম বোর্ড, জার্সিসহ বিভিন্ন খেলাধুলার সামগ্রী এবং নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক, এসপিপি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি সদর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. একরামুল রাহাত, পিএসসি, ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন, চেলাছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লিলন চাকমা,এলাকার হেডম্যান কারবারী সহ ব্যক্তিবর্গ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে রাঙামাটি রিজিয়নের কমান্ডার নাজমুল হক বলেন,পাহাড়ি অঞ্চলের উন্নয়নের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো। তারা সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করছে এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে এসব সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী এ অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, পাহাড়ি এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত হলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে এবং সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নত হবে। পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ছাড়া পাহাড়ের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন,এ অঞ্চলে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে শিল্পকারখানা স্থাপন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের বিকাশ এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। এতে করে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক অবস্থার দৃশ্যমান পরিবর্তন আসবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সমন্বিত উদ্যোগে পার্বত্য এলাকার উন্নয়ন কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে এবং পাহাড়ে শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ জীবনযাত্রা গড়ে উঠবে।