বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:০১ পূর্বাহ্ন
ঘোষনা
চট্টগ্রামে নিউ মার্কেট মোড়ে বিকেল ৪টার আগে কোনো হকার বসলে উচ্ছেদ অভিযানসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। ধানের শীষে আজহারুল ইসলাম মান্নানের মনোনয়ন উপলক্ষে বৈদ্যেরবাজারে যুবদলের বিজয় উৎসব ও ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় চলো যায় পদ্মা বাঁচাই ,পদ্মার পানি বণ্টনের দাবিতে শিবগঞ্জে বি এন পি আয়োজনে বিশাল সমাবেশ ময়মনসিংহে শিয়ালের আক্রমণে নারী ও পুরুষ সহ আহত ২০ জন । পটুয়াখালী-৩ আসনে হাসান মামুনকে প্রার্থী না করায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ রিটা রহমানকে বিএনপির নমিনেশনের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ হঠাৎ রেল লাইনের উপর ভেঙ্গে পড়ল ট্রেনের যন্ত্রাংশ , পাথরের আঘাতে আহত গেটম‍্যান ও পথচারীরা আটঘরিয়ায় পাটবীজ উৎপাদনকারি চাষি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত সানজিদা ইসলাম তুলি: এক সাহসী বোনের আন্দোলন, এক জাতির বিবেকের জাগরণ শত বছরের পুরাতন পুকুর ভরাটে প্রশাসনের নীরবতা, ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকাবাসী। আখাউড়ায় ৫৪৫ পিস ইয়াবাসহ এক মাদক কারবারি গ্রেফতার ঝিনাইদহ -০৪ আসনে কালীগঞ্জের মাটিতে অতিথি পাখির ঠাই নাই বললেন স্থানীয় নেতাকর্মী ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিবি পুলিশ কর্তৃক ০৬ কেজি গাঁজাসহ ০১ মাদক কারবারী গ্রেফতার। শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলাধুলায় গড়ে উঠবে নতুন বাংলাদেশ: আমিনুল হক আশুগঞ্জ থানা পুলিশ কর্তৃক ১৪ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার; ০১ মাদক কারবারী গ্রেফতার: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মুশফিকুর রহমানকে ফুলেল শুভেচ্ছা কাশিমপুর কারাগারে সাংবাদিক শিহাব উদ্দিনকে দেখতে গেলেন ঢাকা প্রেসক্লাবের সভাপতি আওরঙ্গজেব কামাল শ্রীপুরে রহস্যজনক এক নববধূর মৃত্যু। ঝিনাইদহ-১ আসনে নির্বাচন করার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান পদত্যাগের ঘোষণা সিংগারবিল ইউনিয়নে এক আতঙ্কের নাম গ্রাম পুলিশ নার্গিস বেগম।

কেন বিবাহ বিচ্ছেদ বেড়েই চলেছ,

মোঃ শরিফুল ইসলাম খান
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০২২
  • ৪৯৮ বার পঠিত

উল্লাপাড়া উপজেলা প্রতিনিধিঃ

বর্তমানে যে ভাবে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা বেড়ে চলছে তাতে কিছু দিন পরে ভদ্র নারীরা এবং ভদ্র পুরুষরা বিবাহ করতেই ভয় পাবেন।এমনকি ভদ্র পরিবারগুলোও তাদের ছেলে মেয়েদের বিবাহ দিতেই ভয় পাবেন।

 

গত ২০২০ ইং জুন থেকে অক্টোবর এই পাচ মাসের ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনের তথ্য অনুযায়ী দেখা যায়

৫৯৭০,টি তালাক,বা বিবাহ বিচ্ছেদের মতো ঘটনা ঘটেছে যা প্রতিদিন হিসাবে গড়ে ৩৯ টা।

(সূত্র প্রথম আলো ২৩.০৫.২২)

এর আবার অধিকাংশ বিচ্ছেদ, ডিফোজ /তালাক করছে স্ত্রীর পক্ষ থেকেই।এবংসবচেয়ে বেশি বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে কর্মক্ষম নারীদের ক্ষেত্রে তারা খুব অল্পতেই স্বামীকে ডিফোজ /তালাক দেওয়ার মতো জটিল সিদ্ধান্ত নিয়ে নিচ্ছে।

 

এভাবে বাংলার প্রতিটি শহর থেকে গ্রামে প্রতি মুহূর্তে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে চলছে,গ্রামের চাইতে বিশেষ করে শহর গুলোতে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা অনেক গুণ বেশি ঘটছে যা আগামীর জন্য অত্যন্ত বিপদজনক পরিবেশ অপেক্ষা করছে।

 

অতিমাত্রায় বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ যদি আমি বিশ্লেষণ করি তবে নিন্মলিখিত বিষয়গুলো দেখতে পাইঃ- যেমন

 

১.ধর্মীয় অনুশাসন মেনে না চলা,বা এর বাহিরে জীবন গঠন।

২.পারিবারিক নৈতিক শিক্ষার অভাব।

৩. অবাধে নারী পুরুষ মেলামেশা,এবং

বিবাহের পূর্বে বিবাহ বহির্ভূত স্বামী স্ত্রী মতো সম্পর্ক স্থাপন,যা বিবাহের পরেও একাধিক নারী পুরুষের প্রতি যৌণ আকাঙ্খা তৈরি করে এবং পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া।

৪. উচ্চবিলাসিতা এবং উচ্চাকাঙ্খা অন্যতম কারণ।

৫.পশ্চিমা সাংস্কৃতি ও অতিমাত্রায় ইন্টারনেট এবং প্রযুক্তির ব্যবহার বিবাহ বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ।

৬.নারী পুরুষের অবাধ স্বাধীনতা।

৭.নারীর অর্থনৈতিক শক্তি এবং কর্মক্ষম নারীদের মধ্যে অহংকার বোধ বেশি জন্ম নেওয়ায় বিবাহ বিচ্ছেদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ।

৮.পারিবারিক কলহ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি বিবাহ বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ।

৯.বাল্যবিবাহ ও বিবাহ বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ।

১০.ধৈর্যশক্তি কমে যাওয়া এবং একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার চরম অভাব বিবাহ বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ।

১১. অতিরিক্ত কাবিননামা এবং যৌতুক প্রথা বিবাহ বিচ্ছেদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ।

 

উল্লেখিত বিষয়গুলো ছাড়াও আরও অনেক কারণ থাকতে পারে, আমার সাথে অনেকে কিছু বিষয় নিয়ে একমত নাও হতে পারেন।তবে আপনি গভীরভাবে চিন্তা করে দেখেন আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগে এরকম ছিল কিনা, আগে সমাজে যদি কোন বাবার সন্তান তালাক বা ডিফোজ দিত তাহলে পুরো এলাকায় একটা

সোরগোল শুরু হতো এবং সেই পরিবারের মানুষগুলো সমাজের কাছে মুখ দেখাতে লজ্জা পেত।

তখন মানুষের এতো অর্থ ও বুদ্ধি শিক্ষা আবাসন ব্যাবস্থা কোন কিছুই ভালো ছিলনা কিন্তু মানুষের মধ্যে মানুষ হিসাবে যে গুণাবলী থাকার কথা, তা অধিকাংশই ততকালীন মানুষগুলোর মধ্যে ছিল।

কিন্ত? এখন মানুষের অর্থ ও বুদ্ধি শিক্ষা স্বাস্থ্য আবাসন

সব কিছুরই উন্নয়ন হয়েছে শুধু উন্নয়ন হয়নি মানুষের ভিতরের মানুষেরগুণাবলীর আর এজন্যই দিন যত যাচ্ছে ততই পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের নৈতিক শিক্ষার অভাব প্রতিটি ক্ষেত্রে দৃশ্যমান হচ্ছে, যা আগামী প্রজন্মের জন্য চরম বিশৃঙ্খল পরিবেশ অপেক্ষা করছে।

 

অতএব এখনই আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

সর্ব প্রথম শিক্ষা ব্যাবস্থার পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে

নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে জাতিকে কেননা যে শিক্ষা দেশ ও সমাজকে আলোর পরিবর্তে অন্ধকারে

দিকে নিয়ে যাচ্ছে যে শিক্ষা চরিত্র গঠনের পরিবর্তে বিকৃত চরিত্রে রূপান্তরিত হচ্ছে তাই আমি মনে করি সেই শিক্ষার আমুল সংস্কার আগে দরকার।

সেই সাথে প্রতিটি সেক্টরে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে সামাজিক অবক্ষয় রোধ করা সম্ভব এবং আদর্শিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে ইনশাআল্লাহ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ দৈনিক মাতৃজগত    
Developed By Bangla Webs
banglawebs999991