বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৭ অপরাহ্ন
ঘোষনা
বহিষ্কৃত এসআই মাহবুব হাসান ২ দিনের রিমান্ডে সাতক্ষীরায় কুখ্যাত কোপা মাসুদ এবং দুই সহযোগী গ্রেপ্তার রাজবাড়ীতে ছাত্র আন্দোলন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার ওগাঁ-১ আসনে ইসলামি আন্দোলনের সদস্য-কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত রাজশাহীতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ঢাকার উত্তরায় খাল পরিষ্কার অভিযান কক্সবাজারে তরুণ সাংবাদিক নুরুল আমিনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার,বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (B.C.P.C)–এর পক্ষ থেকে মৃত্যু রহস্য উন্মোচন করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি। গলাচিপায় রাস্তার অর্ধসমাপ্ত কাজের জটিলতা: ঠিকাদারের উদাসীনতায় জনদুর্ভোগ চরমে দৃষ্টিনন্দন রূপে গড়ে উঠেছে গলাচিপা উপজেলা পরিষদ চত্বর গলাচিপায় আদালত ভবন থাকলেও দেওয়ানী মামলা চলছে পটুয়াখালীতে সকল হিংসা বিভেদ ভুলে সকলকে একতাবদ্ধ থাকতে হবে- আব্দুস সালাম পিন্টু মনপুরায় পুকুরে ডুবে দুই বছরের শিশুর করুণ মৃত্যু গলাচিপায় ইয়াবাসহ পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী আটক ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে গৌরীপুরে ঐক্যবদ্ধ বিএনপি: এডভোকেট নুরুল হক ক্রীড়াঙ্গনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ আমিনুল হকের তজুমদ্দিনে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত। জামালপুরে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন সংবাদ প্রকাশের জেরে রাজশাহীতে ৬ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা গলাচিপায় বিএনপির সদস্য নবায়ন, নতুন সদস্য গ্রহণ ফরম বিতরণ ও ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৩৭ শিক্ষার্থীর সংবর্ধনা

গলাচিপায় আদালত ভবন থাকলেও দেওয়ানী মামলা চলছে পটুয়াখালীতে

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৪০ বার পঠিত

খন্দকার জলিল-স্টাফ রিপোর্টার

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় আদালত ভবন, দেওয়ানী আদালতের এজলাস কক্ষ ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে দেওয়ানী মামলার কার্যক্রম চলছে জেলা সদরে। এতে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সরকার উপজেলা ঘোষনা করার পরে ১৯৮৩ সালে গলাচিপা উপজেলায় দেওয়ানী ও ফৌজদারি আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর ১৯৯৩ সালে দেওয়ানী ও ফৌজদারি আদালতের কার্যক্রম জেলা সদরে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে পুনরায় ২০০০ সালে গলাচিপায় শুধু ফৌজদারি আদালত পুনঃস্থাপন করা হলেও দেওয়ানী আদালতের কার্যক্রম আর ফেরানো হয়নি। ফলে গলাচিপা আদালত ভবনের দেওয়ানী আদালত ও এজলাস কক্ষ দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে খালি পড়ে আছে। গলাচিপা এবং রাংগাবালী উপজেলার দেওয়ানী মামলাগুলো দীর্ঘদিন ধরে পটুয়াখালীতে নিষ্পত্তি হয়ে আসছিল। তবে কয়েক মাস আগে রাংগাবালী উপজেলার দেওয়ানী মামলাগুলো স্থানীয়ভাবে স্থানান্তরিত করা হলেও সেখানে এখনও স্থায়ী আদালত ভবন নেই। অস্থায়ী ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবস্থায় সেসব কার্যক্রম চালু থাকলেও গলাচিপায় পর্যাপ্ত অবকাঠামো থাকা সত্ত্বেও এখানকার দেওয়ানী মামলা এখনো জেলা সদরে পরিচালিত হচ্ছে। ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষের দাবি, গলাচিপার দেওয়ানী মামলা যেন দ্রুত এখানকার উপজেলা আদালতে স্থানান্তর করা হয়। চিকনিকান্দি ইউনিয়নের গৃহবধূ মিনারা বেগম জানান, তার একাধিক দেওয়ানী মামলা বর্তমানে পটুয়াখালীতে চলছে। প্রতিবার মামলা পরিচালনার জন্য তাকে জেলা শহরে যেতে হয়। এতে যেমন অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হয়, তেমনি সময় নষ্ট হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে রাত্রীযাপনও করতে হয়। তার মতে, গলাচিপার শত শত মানুষ একই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। গলাচিপা ফৌজদারি আদালতে কর্মরত সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল খালেক মিয়া, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. রাইসুল ইসলাম জাহিদ, মো. মনিরুল ইসলাম, মো. মনির গাজী, এ পি পি গাজী মো. আল-আমিন এবং গলাচিপা উপজেলা আইনজীবী প্রতিনিধি মো. মোকলেছুর রহমানসহ একাধিক আইনজীবী জানান, রাংগাবালীতে পর্যাপ্ত অবকাঠামো না থাকলেও সেখানে দেওয়ানী মামলা চলছে। অথচ গলাচিপায় যথেষ্ট অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও এখানকার মানুষকে পটুয়াখালী যেতে হচ্ছে। তারা আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অবিলম্বে গলাচিপায় দেওয়ানী আদালত কার্যক্রম চালুর জোর দাবি জানান। এ প্রসঙ্গে গলাচিপা ফৌজদারি আদালতের জিআরও মো. আবু সালেহ এবং বেঞ্চ সহকারী মো. ফেরদাউস বলেন, গলাচিপা দেওয়ানী আদালত চালুর মতো পর্যাপ্ত অবকাঠামো, কক্ষ ও প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। যেকোনো সময় এখানকার দেওয়ানী আদালত কার্যক্রম চালু করা সম্ভব। গলাচিপার সাধারণ মানুষ মনে করেন, দেওয়ানী মামলাগুলো জেলা সদরে চালানোর ফলে মামলার নিষ্পত্তি দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এতে শুধু আর্থিক ক্ষতিই নয়, ভোগান্তি ও হয়রানিও বাড়ছে। তাই তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে গলাচিপায় দেওয়ানী আদালত চালুর জোরালো দাবি তুলেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ দৈনিক মাতৃজগত    
Developed By Bangla Webs
banglawebs999991