
খন্দকার জলিল-স্টাফ রিপোর্টার পটুয়াখালীর গলাচিপায় জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৭ জন গুরুতর আহত হয়ে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। জানা যায়, গলাচিপা উপজেলার চিকনিকান্দি ইউনিয়নের পানখালী গ্রামের মতিউর রহমান খানের স্ত্রী মিনারা বেগমের পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে একই গ্রামের মৃত ইউনুস সরদারের পুত্র মাকসুদ সরদারের সাথে বিরোধ চলে আসছে। এর আগে একই জমি নিয়ে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছিলেন। বর্তমানে বিরোধীয় জমিটি মিনারা বেগমের দখলে থাকলেও এ নিয়ে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। গতকাল শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকালে মিনারার পক্ষ জমি চাষ করতে গেলে মাকসুদ সরদারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। দুপুরে মিনারার ছেলে শুভ (৩০) জুমার নামাজ শেষে কালারাজা বাজার জামে মসজিদের উত্তর পাশে গেলে প্রতিপক্ষরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করে। মুহূর্তেই এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের নারী পুরুষসহ ২০-২৫ জন লোকের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৬-৭ জন গুরুতর আহত হন। ভুক্তভোগী মিনারা বেগম অভিযোগ করে জানান, “মাকসুদ সরদার দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া দাবি করে আমাদের পৈত্রিক জমি দখলের ষড়যন্ত্র করছে। আদালতে মামলা চলমান থাকা সত্ত্বেও তারা আমাদের জোর করে দখলচ্যুত করার চেষ্টা করছে।” অন্যদিকে মাকসুদ সরদারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এ জমি নিয়ে উভয় পক্ষের দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে এবং এর আগেও একজন নিহত হয়েছেন। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, স্থায়ী কোন সমাধান না হলে আরও বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটতে পারে। গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ আশাদুর রহমান বলেন, “সংবাদ পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উভয় পক্ষের মধ্যে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মামলা এজাহার ভুক্ত করে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”