খন্দকার জলিল, পটুয়াখালী জেলা ব্যুরো প্রধান
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলার আসামি এনজিও কর্মী অবশেষে পুলিশি অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছেন। শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকাল ৫টার দিকে গলাচিপা মহিলা ডিগ্রি কলেজের সামনে থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
জানা যায়, গলাচিপা সদর ইউনিয়নের পক্ষিয়া গ্রামের সোসাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) নামের একটি এনজিওর মাঠ কর্মী মো. এমদাদুল হক (৪৫) সমিতির এক নারী সদস্য মোসা. তাহমিনা বেগম (৪৫)-কে প্রকাশ্যে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন।
ঘটনার পর ভুক্তভোগী বিচার না পেয়ে অবশেষে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ১৪ অক্টোবর একটি মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগে জানা যায়, গত ১৭ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে এসডিএফ-এর “জেলে পরিবার উন্নয়ন প্রকল্প” সমিতির সভায় এমদাদ সদস্যদের উদ্দেশে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং প্রতিবাদ করলে তাহমিনা বেগমকে চড়-থাপ্পড় মারেন। পরে ভুক্তভোগী ও সদস্যরা এসডিএফ গলাচিপা অফিসে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এদিকে, মামলার খবর জানার পর থেকে এমদাদ হোসেন পলাতক ছিলেন। অবশেষে শনিবার বিকেলে গলাচিপা থানার সাব-ইনস্পেক্টর (এসআই) মো. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে এক বিশেষ অভিযানে তাকে আটক করা হয়।
গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আশাদুর রহমান বলেন, “মহিলা সদস্যের দায়ের করা নারী নির্যাতন মামলার আসামিকে আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আটক করা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
ভুক্তভোগী তাহমিনা বেগম বলেন, “আমি অবশেষে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছি। আমি চাই, আমার নির্যাতনের সঠিক বিচার হোক এবং যাতে আর কোনো নারী এভাবে নির্যাতনের শিকার না হয়।”
স্থানীয় সচেতন মহল পুলিশের দ্রুত অভিযানে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।