খন্দকার জলিল, স্টাফ রিপোর্টার
পটুয়াখালীর গলাচিপায় জব্দ করা মালিকবিহীন তিনটি মহিষ প্রকাশ্যে জনসম্মুখে নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) সকাল ৯টায় গলাচিপা উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় এই নিলাম কার্যক্রম।
জানা যায়, গত ২৩ আগস্ট সকাল ১১টার দিকে গলাচিপা থানার এসআই মো. বেল্লাল হোসেন (নি:) মাদক উদ্ধার ও পরোয়ানা তামিলের জন্য ডাকুয়া ইউনিয়নের হোগলবুনিয়া গ্রামে গেলে জনৈক জহিরুল মাস্টারের বাড়ির সামনে ওয়াবদার ঢালে তিনটি মহিষ অবাধে বিচরণ করতে দেখতে পান। পরবর্তীতে মালিক সন্ধান করা হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে একই গ্রামের সামসুল হক হাওলাদারের পুত্র আবুল বশার (৪০)-এর জিম্মায় মহিষগুলো রাখা হয় এবং গলাচিপা উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে জানানো হয়।
প্রকৃত মালিকের সন্ধান না মেলায় আদালতের নির্দেশে মহিষ তিনটি নিলামে বিক্রির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। নিলামের দিনে মোট সাতজন অংশ নেন। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে গলাচিপা পৌরসভার শ্যামলীবাগ এলাকার মো. মাহবুবুর রহমান ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং অতিরিক্ত ২০% ভ্যাট পরিশোধ করে মহিষ তিনটির মালিকানা লাভ করেন।
নিলামে বিক্রি হওয়া মহিষ তিনটির বিবরণ অনুযায়ী— ১. একটি বিচ্চু মহিষ, গায়ের রং কালো, শিং দুটি বাঁকা, বয়স আনুমানিক ৫ বছর, লেজের মাথা সাদা ২. একটি ছোট চেলা মহিষ, গায়ের রং কালো, বয়স প্রায় ১ বছর, শিং দুটি খাড়া ৩. আরেকটি ছোট চেলা মহিষ, চান কপালী, শিং দুটি খাড়া, বয়স প্রায় ১ বছর।
নিলাম কার্যক্রম অনুষ্ঠানে প্রধান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গলাচিপা উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন, গলাচিপা থানার এসআই মো. বেল্লাল হোসেন (নি:), গলাচিপা আদালতের সিএসআই মো. আনিসুর রহমান, জিআরও মো. আবু সালেহ, বেঞ্চ সহকারী মো. ফেরদাউস মিয়াসহ আরও অনেকে।
সর্বশেষ আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন এর নির্দেশে জনসম্মুখে মাহবুবুর রহমানের কাছে মহিষ তিনটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়।