
খন্দকার জলিল, পটুয়াখালী জেলা ব্যুরো প্রধান পটুয়াখালীর গলাচিপা সদর ইউনিয়নের যুব অধিকার পরিষদের ২নং যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আরিফ আল নিশাদ ওরফে অরুন হাওলাদারকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করা হয়। শনিবার (১ নভেম্বর) গলাচিপা উপজেলা যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মো. রাসেল ও সদস্য সচিব মো. আবুল হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “মো. আরিফ আল নিশাদ @ অরুন হাওলাদারের বিরুদ্ধে সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট করার মতো কর্মকাণ্ড এবং সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনের কোনো কার্যক্রমের সঙ্গে তার আর কোনো সম্পর্ক নেই এবং সদর ইউনিয়নের সকল নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক ভাবে তার সাথে যোগাযোগ না রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন।” স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অরুন হাওলাদার বিগত সরকারের আমলে আওয়ামীপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর সুযোগ বুঝে তিনি গণঅধিকার পরিষদের সহযোগী সংগঠন যুব অধিকার পরিষদে যোগ দেন। তবে যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন ইউনিয়নের একাধিক নেতাকর্মীর সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়ে পড়েন এবং সাংগঠনিক অস্থিরতা সৃষ্টি করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামী সরকার পতনের পর একসময় তিনি রাজনীতিতে নিস্ক্রিয় থাকলেও, যুব অধিকার পরিষদের কার্যক্রম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুনরায় সক্রিয় হয়ে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন। এতে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। অরুন হাওলাদারের বহিষ্কার আদেশে সাধারণ সদস্য ও নেতাকর্মীদের মধ্যে স্বস্তি নেমে এসেছে। অনেকে মনে করছেন, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও ভাবমূর্তি রক্ষায় উপজেলা যুব অধিকার পরিষদ যথাযথ ও সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্থানীয় নেতারা বলেন, “এই সিদ্ধান্ত সংগঠনকে আরও ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী করতে সহায়ক হবে।” তবে বহিষ্কৃত নেতা অরুন হাওলাদারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, তার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।